২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতী এবং ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল পৌষ মেলা। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ, পাঁচটা বছর। অবশেষে আবারও এই বছর শান্তিনিকেতনে আয়োজিত হতে চলেছে পৌষ মেলা।
আরও পড়ুন: 'কত অসংখ্য মানুষের শ্রম, অসংখ্য দর্শক...' মাচা শো -কে অবজ্ঞা - তাচ্ছিল্য? ট্রোলারদের কড়া জবাব সুরজিতের
বুধবার, ১৩ নভেম্বর বিশ্বভারতীতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ পরবর্তীতে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। জেলা প্রশাসন এবং রাজ্যের সাহায্য প্রার্থনাও করেছেন তিনি এই খবর ঘোষণা করে।
পাঁচ বছর পর শান্তিনিকেতনে ফের পৌষ মেলা হবে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশি বিশ্বভারতীর আবাসিক, ছাত্র, ছাত্রীরা। আনন্দিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০১৯ সালে শেষবার পৌষ মেলা আয়োজন করেছিল বিশ্বভারতী এবং ট্রাস্ট। এরপর করোনা আসার পর বসেনি এই মেলা। যদিও গত বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তাও সাতদিনের বদলে মাত্র ৪ দিন। পূর্বপল্লি অর্থাৎ মেলা প্রাঙ্গণ বলে যেটা পরিচিত সেই মাঠেই ভাড়া নিয়ে পৌষ মেলার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে বিশ্বভারতীর কোনও রকম ভূমিকা ছিল না।
বিদ্যুৎ সহ, অস্থায়ী শৌচাগার, পর্যাপ্ত জলের জোগানের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ট্রাস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। রবি ঠাকুরের হাত ধরে শুরু হওয়া এই মেলা আজও বীরভূম জেলার স্থানীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই বছর ফের চেনা ছন্দে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হবে জেনেই আনন্দিত ব্যবসায়ী মহলও।