মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে বিরাট-অনুষ্কা, ধন্যবাদ জানালেন পাপারাতজিদের

সন্তানের জন্মের ১০ দিনের মাথায় প্রথমবার ক্যামেরাবন্দি অনুষ্কা। ফিট মাম্মিকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের।

একসঙ্গে লেন্সবন্দি বিরাট-অনুষ্কা

গত ১১ জানুয়ারি মা হয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। আর সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঠিক ১০ দিনের মাথায় প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন নায়িকা, সঙ্গী বিরাট কোহলি। এদিন মুম্বইয়ে পাপারাতজিদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হলেন তারকা দম্পতি। 

চিকিত্সকদের কাছে রুটিন চেক-আপের জন্য যাওয়ার আগে দেখা মিলল বিরুষ্কার। সন্তানের জন্মের পরেও একদম ফিট অনুষ্কার দেখা মিলল। ব্লু ডেনিম আর ম্যাচিং শার্টে পাওয়া গেল বিরাট ঘরনিকে। করোনা আবহে মুখ ঢাকা ছিল সাদা মাস্কে, সঙ্গে কালো রঙা স্লিং ব্যাগ ঝোলানো ছিল কাঁধে। খোলাচুল আর মেকআপহীন লুকে মিষ্টি লাগছিল অনুষ্কাকে। মেয়ের জন্মের খুশি ফুটে উঠেছে বাবা-মা দুজনের চোখেমুখেই। বিরাটের দেখা মিলল কালো শার্ট ও প্যান্টে। মাস্কে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।

খোশমেজাজে বিরাট-অনুষ্কা

এদিন পাপারাতজিদের আবদার মেনে বেশ কয়েক মিনিট ধরে পোজ দিলেন বিরাট-অনুষ্কা। সবশেষে অনুষ্কা ধন্যবাদ জানালেন সাংবাদিক বন্ধুদের। তারকা দম্পতির আর্জি মেনে তাঁদের সন্তানদের ছবি না তোলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাপারাতজিরা। বাবা-মায়ের এই আবেদন মেনে নেওয়ায় খুশি অনুষ্কা। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানালেন। 

মেয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখতেই তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মিডিয়াতে প্রকাশ্যে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই পাওয়ার কপল। গত সপ্তাহেই  মুম্বইয়ের পাপারাতজিদের কাছে বিরাট-অনুষ্কার তরফে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়ে- '….বাবা-মা হিসাবে আমাদের একটা অতি সাধারণ অনুরোধ রয়েছে আপনাদের কাছে। আমরা নিজেদের সন্তানের গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই, এই কাজে আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন প্রয়োজন। আমরা আগামিতেও নিশ্চিত করব আমাদের সবরকমের কনটেন্ট আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে যা কিছু সহযোগিতা করা সম্ভব সেগুলো মেনে চলা। আমরা আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমাদের সন্তানের কোনওরকম ছবি আপনারা তুলবেন না বা কোথাউ ছড়িয়ে দেবেন না। আশা করছি আপনারা বুঝবেন আমারা কোন পরিস্থিতি থেকে এই কথাগুলো বলছি, এবং এর জন্য আগাম ধন্যবাদ’।

কথা মতোই এদিন সাংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে পোজ ছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। তারকারা অনুমতি না দিলে তাঁদের সন্তানদের ছবি বরাবরই তোলেন না পাপারাতজিরা। এই উদাহরণ আগেও বহুবার চোখে পড়েছে।