চলতি বছরেই তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অনুপম রায়। বছর দুই আগে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাদা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সকলকে চমকে দিয়েই অনুপম-প্রশ্মিতার বিয়ের খবর আসে। এর কয়েকমাসে অগেই অবশ্য ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেছিলেন পিয়া চক্রবর্তী আর অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার বন্ধুত্ব দিবস উপলক্ষে অনুপমের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করলেন গায়িকা প্রশ্মিতা পাল। আর সেই ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব-র জন্য’! সেখানেই দুজনকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন নেট-নাগরিকরা। একজন কমেন্টে লেখেন, ‘পেয়ে যায় বন্ধু কখন কেউ, তখন রোজই আমাদের ফ্রেন্ডশিপ ডে’। দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘এদের দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়’।
আরও পড়ুন: সাজানো খাটে আপরাজিতার দাদা-বউদির ফুলশয্য়া! বর-মেয়ে নিয়ে সামিল হলেন অভিনেত্রী
তবে এই ছবিতেও একজন ট্রোল করেন অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়াকে। লেখেন, ‘তোমার আর অনুপমদার জন্য খুব খুশি। পারলে পিয়াকে একটু ভালো করে গান শিখিয়ে দিও। মেয়েটার গলা একদম কাকের মতো।’ যদিও এই কমেন্টে কোনও জবাব দেননি প্রশ্মিতা বা অনুপম কেউই। এড়িয়েই গিয়েছেন। যদিও অন্য আরেক নেটিজেন সেই কটাক্ষভরা কমেন্টের জবাবে লেখেন, ‘যা চলে গেছে, তা যাক না’।
আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো অন্দরসাজ, ইয়াবড় ল্যাম্প! বিক্রি কঙ্গনার ৪০ কোটির বাংলো, ঘুরে দেখুন
বন্ধুত্ব থেকেই শুরু হয়েছিল প্রশ্মিতা আর অনুপমের সম্পর্কের। আর তা নিয়ে আনন্দবাজারকে গায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল…গানের মাধ্যমে। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেল আছে একটা গানের জগতের মানুষদের নিয়ে। সেখান থেকেই বন্ধুত্বটা’। অনুপমের সুরে আমার বস এবং ম্যাডাম সেনগুপ্ত ছবিতে গান গেয়েছেন প্রশ্মিতা।
আরও পড়ুন: ৫৬-তেও বিকিনি! খোলামেলা পোশাক নিয়ে ট্রোলে মুখ খুললেন অমর্ত্য-কন্যা অভিনেত্রী নন্দনা
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেভাবে কথা বলা পছন্দ করেন না কখনোই। গান গাওয়ার পাশাপাশি , পেশায় ইঞ্জিনিয়র প্রশ্মিতার। বউয়ের প্রশংসায় গায়ক বলেছিলেন, ‘আমি গায়ক প্রশ্মিতাকে নয়, মানুষটাকে বিয়ে করেছি। ওর গুণ আছে, ওঁর কন্ঠে সুর আছে। সেটা আমার বাড়তি পাওনা, ও টেকে খুবই ভালো, পিডব্লুসি-তে চাকরি করে। সেট নিয়ে খুব সিরিয়াস। ওভারঅল খুব হ্যাপি ব্যাপার আছে ওর মধ্যে।’
পিয়া পেশায় সমাজকর্মী। তবে খুব ভালো গান গাইতেও পারেন। প্রায়ই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অবসর কাটাতে দেখা যায় সংগীতের মধ্যে দিয়ে। তাই ট্রোলাররা যতই হিংসে করুক, তাঁর গানের গলা খারাপ, এমন মনে হয় বড় নিন্দকেও বলবে না!