নেটফ্লিক্সে আসছে ‘ধুম ধাম’, সেখানেই ইয়ামি গৌতমের সঙ্গে দেখা যাবে প্রতীক গান্ধীকে। হনসল মেহতার 'স্ক্যাম ১৯৯২' এবং 'মাদগাঁও এক্সপ্রেস'-এর মতো ছবির হাত ধরে খ্যাতি পেয়েছেন অবিনেতা প্রতীক গান্ধী। 'ধুম ধাম' ছবির জন্য সিক্স প্যাক অ্যাবস দেখাতে দেখা যাবে প্রতীককে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন প্রতীক গান্ধী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতীক গান্ধী বলেন, সিক্স-প্যাক অ্যাবস দেখাতে তিনি শুধুই ওয়াটার-ডায়েটে ছিলেন। এমনকী ক্র্যাম্পের সমস্যাতেও ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতীক।
ঠিক কী বলেছেন প্রতীক গান্ধী?
অ্যাবস তৈরি এবং টোনড বডি অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রতীক গান্ধীকে। প্রতীক বলেন, ‘আমার দৈহিক কাটামো খানিকটা এইরকমই ছিল। তবে ছবির এই লুক অর্জন করতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।’ প্রতীক বলেন, ‘এই সময়টা আমি প্রচুর প্রোটিন খেয়েছি, আর চুটিয়ে কাজ করেছি, খুব কমই ঘুমাতাম। খুব কম জল খেয়েছি। যেখানে মাসল ক্র্যাম্পও সহ্য করতে হয়েছে। সবই করেছি শুধু এই দেহের জন্য।’
মাত্র ১ লিটার জল
অভিনেতা প্রতীক গান্ধীর কথায়, তিনি আগে বিশ্বাস করতেন যে তিনি অন্য অভিনেতাদের থেকে আলাদা। পর্দার জন্য টোনড বডি অর্জনের জন্য কখনওই তিনি চরম পদক্ষেপ নেবেন না। তবে 'ধুম ধাম' ছবির জন্য তাঁকেও সেই একই পদক্ষেপ নিতেই হয়েছে। তাঁর কথায়, 'আমি অনেক অভিনেতার সাক্ষাৎকার পড়েছি যেখানে তাঁরা বলেছেন যে এটা কতটা কঠিন। তবে ফিটনেসের ক্ষেত্রে আমার ভিন্ন চিন্তাভাবনা বরাবরই আলাদা ছিল। আমি ভাবতাম যে আমি কখনওই এমন সব পদক্ষেপ করব না। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমি তা করেও ফেলি।'
তাঁর কথায়, ‘শুটিংয়ের আগে চার দিন আমি দিনে মাত্র এক লিটার জল পান করেছি। এই ১ লিটার জলের মধ্যে চা-কফির মতো পানীয়ও রয়েছে। এমনকি আমি কার্বস (কার্বোহাইড্রেট) ও লবণও পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। আর যখন আপনি কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেবেন, তখন আপনি খুব খিটখিটে হয়ে যাবেন। আমি শুধু শ্যুটিং শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম, যাতে আমি আবারও ঠিকঠাকভাবে জল পান করতে পারি।’
প্রসঙ্গত, ইয়ামি গৌতম ও প্রতীক গান্ধী ছাড়াও 'ধুম ধাম' ছবিতে রয়েছেন আজাজ খান। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি।