সামাজিক মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করলেন পৃথা চক্রবর্তী। যিনি পেশায় নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তিনি, দুই সন্তানের মা। তাঁর শেয়ার করা ছবিটি সাদা-কালো। এক মহিলার পা দেখা যাচ্ছে। আর পায়ে আলগোছে রাখা একটি হাত। আর সেই হাতে ধরে রাখা আছে একটি ফোন।
পৃথা পোস্টটি করলেন মঙ্গলবার রাতে। যেখানে তিনি লিখলেন, ‘যখন আপনি একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকেন, তখন আপনি একসাথে স্না করেন, অরক্ষিত যৌন মিলন করেন, একে অপরের পরে খান, একই গ্লাস থেকে জল পান করেন, মুখে চুম্বন করেন এবং একই বিছানায় ঘুমান। আমরা ভালোবাসলে একসঙ্গে এই সমস্ত ব্যক্তিগত জিনিস করি।’
আরও পড়ুন: নিজের হাতে রান্না করলেন একাধিক পদ, অহনার জন্মদিনে কী রাঁধলেন দীপঙ্করের মা?
এরপর পৃথার সংযোজন, ‘তাহলে কেন, যখন কেউ আপনার ফোন স্পর্শ করে, আমরাি বলি না যে, তারা আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে আক্রমণ করছে? ফোনের মধ্যে থাকা অনেককিছুই যে খুব ব্যক্তিগত! কারণ ১০টির মধ্যে ৯টি জিনিস, যা আপনি লোকাতে চাইছেন, আছে আপনার ফোনে।’
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে হঠাৎ হাজির পরিচালক প্রিয়দর্শন, নতুন সিনেমার প্রস্তুতি?
পৃথাকে বিয়ের আগেও, একবার ছাদনাতলাতে গিয়েছিলেন সুদীপ। দামিনী বেণী বসুর সঙ্গে বেঁধেছিলেন সংসার। তাঁদের একত্রে একটি মেয়েও ছিল। ডিভোর্সের বেশ কিছু বছর পর এক নাচের অনুষ্ঠানে পৃথা আর সুদীপের আলাপ। পটলচেরা সুন্দরীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সুদীপ। তবে এই বিয়েতে প্রথমে মত ছিল না পৃথার পরিবারের। ২৪ বছরের বড় ছেলে, এক সন্তানের বাবা, ডিভোর্সি, অভিনেতা জামাই নিয়ে ধ্বন্ধ ছিল তাঁদের মনে। জানা যায়, ছেলেটি কেমন তা জানতে পৃথার পরিবার ছুটেছিল দামিনীর কাছে। ডিভোর্সের কারণ জানতে ছুটে যান পৃথার মা। বর্তমানে দুই ছেলে নিয়ে সংসার সুদীপ আর পৃথার।
আরও পড়ুন: আবেশে বুজে এল চোখ! ভোট মিটতেই শরীর ঠান্ডা করতে পুলে ৫৪-এর কাঞ্চনের সঙ্গে শ্রীময়ী
বছর দুই আগে স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-তে অংশ নিয়েছিলেন পৃথা-সুদীপ। সেখানে তাঁদেরকে নিয়ে নেটপাড়ার চর্চিত ট্রোল ‘টাকার জন্য বুড়ো বড়কে বিয়ে করেছেন পৃথা’-য় জবাব দিয়েছিলেন। সেখানে সুদীপ-পত্নীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি তাঁর মনের মানুষকে সত্যি কোনও অল্প বয়সী পুরুষের মধ্যে খুঁজে পাননি। এরপর বউকে থামিয়ে সুদীপের জবাব ছিল, ‘কিন্তু আমার তো টাকা নেই। সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করি। পিৎজা খেতে পারি না, মুড়ি খাই।’। হাসিমজার শেষে পৃথার স্পষ্ট জবাব ছিল কটাক্ষকারীদের উদ্দেশে, ‘সুদীপের টাকা থাকলেও, আমি টাকার জন্য বিয়ে করিনি।’