সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব পরিচিত নাম এখন প্রীতি সরকার। তাঁর ফ্যান ফলোইং লজ্জায় ফেলতে পারে যে কোনো প্রথম সারির নায়িকাকে। ইনস্টাগ্রামে প্রীতিকে ফলো করেন ৪ লাখের উপর মানুষ। আর ইউটিউবে সাবসক্রাইবারের সংখ্যাও ২ লাখের কাছাকাছি। ফেসবুকেও প্রায় ৫ লাখ মানুষ তাঁকে অনুসরণ করেন। তবে এত সফল, সুন্দরী, ফ্যাশানিস্তা প্রীতিকেও কিন্তু ছোটবেলা থেকে নিজের শরীর নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়েছে। যা তিনি শেয়ার করে নিলেন সম্প্রতি।
একটি গোলাপি পোশাক পরে, মেকআপ করার সময় কিছু কথা ভাগ করে নিতে দেখা গেল প্রীতিকে। তিনি বললেন, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না এটা নিয়ে কথা বলছি (লম্বা দীর্ঘশ্বাস)! আজ আমি তৈরি হতে হতে আপনাদের আমার জীবনের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তাহীনতার কথা বলব। আমার শরীরের তুলনায়, আমার বুক ভারী। এটা আমাকে সবসময় চিন্তায় ফেলেছে। আমাকে লোকজন বলত, 'তোমার বুক তো ঝুলে গেছে'।’
যে কোনো মহিলাই সবসময় চিন্তায় থাকেন, তাঁকে কেমন দেখতে লাগেছে। আর যাদের রোজ ক্যামেরার সামনে আসতে হয়, তাঁদের জন্য চিন্তা তো আরো বেশি। প্রীতি তা নিয়েই বললেন, ‘ভাবুন একবার ১৫ বছরের মেয়েকে এসব শুনতে হচ্ছে। মডেলিংয়ের কেরিয়ারের শুরুতে এক ফোটোগ্রাফার আমাকে বলেছিল, তোমার জিমে যাওয়া উচিত। তাহলে তোমার বুক টাইট হবে। ওয়াও! সবসময় ব্রা কিনতে গিয়ে আমি মিনিমাইজার ব্রা খুঁজি। যাতে আমার বুক দেখতে কম উঁচু লাগে।’
আরও পড়ুন: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর বিষ্ণোইদের…! সলমন কত টাকা দেয়, বিস্ফোরক দাবি করলে লরেন্সের ভাই
প্রীতি আরও জানালেন, একটা সময় ছিল যখন তিনি ব্রেস্ট রিডাকশন সার্জারি করানোর খোঁজ করতেন। তিনি মনে মনে জানতেন, এটা স্বাভাবিক, কিন্তু ওই যে লোকের কথা! যা তাঁর আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলেছিল। এই বাঙালি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জানালেন, ‘আমি যখন আমার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বললাম, তখন অনেকটাই ভালো লাগছে। আপনিও যদি চান নিজের কোনো দুর্বলতা বা ভয় নিয়ে কথা বলতে, কমেন্ট বক্সে বলতে পারেন। যাতে আমরা একে-অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, নিজের শব্দচয়নের সময় একটু দয়ালু হন। যাতে অন্যের নিরাপত্তাহীনতার কারণ না হয়ে দাঁড়ান আপনি।’
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যকে ডিভোর্সের জল্পনা! বাবা অমিতাভকে পাশে নিয়ে কোন কাগজে সই করলেন অভিষেক
প্রীতির এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একজন লিখেছেন, ‘শেষ লাইনটা সবচেয়ে সুন্দর। আমাদের সবার উচিত আগে একটু ভেবেচিন্তে নিয়ে তারপর কথা বলা’। দ্বিতীয়জন মন্তব্য করেন, ‘এভাবে নিজের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কথা বলা, তাও সকলের সামনে, এত সহজ নয়। তোমার সাহসকে কুর্নিশ।’