প্রীতি জিন্টা আইভিএফ শুরু করার পর, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন তখন তাঁর জীবনে যে কঠিন সময় শুরু হয়েছিল, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময় সম্পর্কে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন নায়িকা।
অভিনেত্রী ভোগ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, এই বিষয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে তিনি সারাক্ষণ হাসি মুখে ছবি তোলেন, সব সময় তাঁকে হাসতে দেখা যায়, দেখে মনে হয় সে তাঁর জীবনে মনে হয় কোনও দুঃখই নেই, কিন্তু বাস্তবে তাঁর জীবনেও এসেছে নানা ওঠাপড়া, বিশেষ করে আইভিএফ চলাকালীন সময় নানা সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: 'ইমার্জেন্সি' মুক্তির আগেই নতুন ছবির ঘোষণা কঙ্গনার! আসছে 'ভারত ভাগ্য বিধাতা'
সাক্ষাৎকারে অভিনেতাকে 'লাহোর ১৯৪৭' ছবির মধ্য দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রীতি বলেন, ‘ক্যারিয়ারে ফোকাস করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে একজন মহিলা হওয়ার কারণে তাঁকে বুঝতে হবে যে জীবন সব সময় তোমার উপর সুবিচার করবে না। মহিলাদের বায়োলজিক্যাল ক্লক থাকে, কিন্তু সকলে এটা ভুলে যান। তবে এর জন্য তাঁদের পিছিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। একজন মহিলাও পরিবারে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরাও চান কাজ করতে, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে। এখন আমার বাচ্চাদের বয়স দুই বছরের বেশি, আমি অনুভব করেছি যে আমি কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য এবার তৈরি।’
তিনি আরও বলেন, 'অন্য সবার মতো আমারও ভাল দিন এবং খারাপ দিন রয়েছে। কখনও কখনও জীবনে সবসময় সুখী-সৌভাগ্যবান হওয়ার লড়াই করে যেতে হয়েছে, বিশেষ করে যখন কেউ কোনও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যায়। আমি অনুভব করতাম যে আমার আইভিএফ-এর সময় সবসময় হাসিখুশি এবং সুন্দর থাকা খুব কঠিন, তাই সেই সময় অভিনয় অভাবে করাও সম্ভব নয়।'
আরও পড়ুন: 'আমার শ্বশুরবাড়ির লোক পালিয়ে যায়…', বিয়ে নিয়ে কোন গোপন তথ্য প্রকাশ করলেন কঙ্গনা
প্রসঙ্গত, প্রীতি রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালিত ছবি 'লাহোর ১৯৪৭'-এর মাধ্যমে সিনে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, শাবানা আজমি এবং আলী ফজলকেও দেখা যাবে ছবিতে। এছাড়াও সিনেমায় প্রীতির বিপরীতে থাকবেন সানি দেওল। তাছাড়াও সঙ্গে তার বড় ছেলে করণ দেওলকেও দেখা যাবে।
প্রীতি জিন্টা এবং তার স্বামী, জিন গুডেনাফ ২০২১ সালের নভেম্বরে যমজ জয় এবং গিয়াকে স্বাগত জানান।