সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দারুণ জনপ্রিয় নন্দিনী দিদি। তাঁর জীবনের গল্প থেকে তাঁর পাইস হোটেল সবের কথাই বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন রিল এবং ভিডিয়োতে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ আসেন তিনিও এসে অন্তত একবার রাস্তার ধারের এই দোকানটায় এসে খান। বাদ যান না প্রবাসীরাও। মদন মিত্র পর্যন্ত তাঁর দোকান থেকে এসে খেয়ে গিয়েছেন। হ্যাঁ, ঠিক এতটাই ভাইরাল তিনি।
এখানে গেলে ভ্লগারদের ভিড় হামেশাই নজরে আসবে। তাঁদের সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি মুখে কথা বলেন নন্দিনী দিদি। তাঁর দোকানে যাঁরা খেতে আসেন তাঁদের কখনও বকে, কখনও ধমকে, কখনও আবার সযত্নে পাত পেড়ে খাওয়ান তিনি। কখনও আবার রান্নায় নুন দিতে ভুলে যান (নিজেই স্বীকার করেছেন সেই কথা), কখনও বাটা মাছ চিনতে ভুলে যান, কখনও আবার মাথা ফাটিয়ে, হাত পুড়িয়ে ফেলেন রান্না করতে গিয়ে। ডালহৌসির অফিস পাড়ার এই পাইস হোটেলে যে হামেশাই হাই ভোল্টেজ ড্রামা চলে সেটা এখন সবারই জানা।
আপনিও সামনেই ওদিকে যাচ্ছেন? বা এই জনপ্রিয় দিদির হাতের রান্না খেতে চান? তাহলে যাওয়ার আগে ঝটপট জেনে নিন নন্দিনী দিদি ওরফে নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায় বা মমতা গঙ্গোপাধ্যায়ের দোকানে কোন খাবারের কত দাম।
নন্দিনী দিদির পাইস হোটেলের খাবারের দাম
কলকাতা জিপিওর ঠিক উল্টো দিকের ফুটপাথেই এই খাবার দোকানটি। সকাল এগারোটা থেকে দুপুর ৪টে পর্যন্ত ঠাসা ভিড় থাকে। এখানে মাত্র ৩০ টাকায় খাবার পাওয়া যায়। হ্যাঁ এটাই সব থেকে কম দামের থালি। এখানে ভাত, ডাল, আলু ভাতে আর এক ধরনের তরকারি দেওয়া হয়, যা পেট ভরানোর জন্য কাফি।
আরও পড়ুন: হিন্দু পণ্ডিতদের কথা আবারও উঠে আসবে পর্দায়? দ্য কাশ্মীর ফাইলস ২ নিয়ে কী বললেন বিবেক?
আরও পড়ুন: 'উনিই আমার আইডল', বলিউডি নায়িকাদের মতো পাহাড়ে নেচে কার কথা বললেন সৌমিতৃষা?
আর সব থেকে দামী প্লেট হল মাটন থালি, এটার দাম ২০০ টাকা। এখানে লেবু, ভাত, ডাল, আলু ভাতে, একটা ভাজা, তরকারি, মাটন থাকে।
এক ঝলকে কোন থালির কত দাম দেখে নিন:
ভেজ থালি: ৩০ টাকা। (ভাত, ডাল, আলু ভাতে আর এক ধরনের তরকারি)
ভেজ থালি: ৫০ টাকা। (ভাত, ডাল, আলু ভাতে, দু রকমের ভাজা আর এক ধরনের তরকারি)
ফিশ থালি-চারাপোনা: ৭০ টাকা। (ভাত, ডাল, আলু ভাতে, একটা ভাজা, তরকারি, মাছের ঝোল)
ফিশ থালি-কাতলা: ৮০ টাকা (ভাত, ডাল, আলু ভাতে, একটা ভাজা, তরকারি, মাছের ঝোল)
চিকেন থালি: ১০০ টাকা (ভাত, ডাল, আলু ভাতে, একটা ভাজা, তরকারি, চিকেন)
মাটন থালি: ২০০ টাকা (ভাত, ডাল, আলু ভাতে, একটা ভাজা, তরকারি, মাটন)
এছাড়াও এই দোকানে কখনও কখনও পোলাও এবং চিকেন পাওয়া যায়, সেটার দাম ১৫০ টাকা। মরশুমী তরকারি যেমন বাঁধাকপি, ইত্যাদি করা হয়। সঙ্গে কখনও কখন অন্যান্য ধরনের মাছ যেমন বাটা, ইলিশ, ইত্যাদিও থাকে। সেগুলোর আবার আলাদা আলাদা দাম।
তাহলে এবার অফিস পাড়ায় এলে আর নন্দিনী দিদির হাতের রান্না খেতে বা ড্রামার সাক্ষী থাকতে একবার কিন্তু এই দোকানে ঢুঁ মেরেই যেতে পারেন!