দীর্ঘদিনের বান্ধবী তথা বাঙালি অভিনেত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে গাঁটছড়া বেঁধেছেন স্মিতা পাটিল ও রাজ বব্বর পুত্র প্রতীক বব্বর। সেই বিয়ে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। এই বিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেতার সৎ বোন জুহি বব্বর। চুপ বাবা রাজ বব্বর। কারণ বাবা কিংবা সৎ ভাই-বোনকে বিয়েতে ডাকেননি প্রতীক। তবে ছেলের সিদ্ধান্তে মর্মাহত প্রবীণ অভিনেতা।
প্রতীক ও প্রিয়ার অদেখা বিয়ের ভিডিও
ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জো ভাইরাল ভায়ানির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে, প্রতীককে সাত পাক ঘোরার সময় তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী-নববধূর দিকে তাকিয়ে থাকতে এবং প্রিয়ার হাতে চুম্বন করতে দেখা যায়। এরপর রুমাল দিয়ে প্রতীককে চোখের জল মুছতে দেখা যায়, অন্যদিকে প্রিয়াকে তার হাত ধরে তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেল। প্রিয়াকে বিয়ে করে বেজায় আবেগপ্রবণ প্রতীক।
ভক্তরা এই দম্পতির হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তে ভালোবাসা জানিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, 'সে নিশ্চয়ই তার মায়ের কথা মনে করছে। ' আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আশা করি তারা চিরকাল সুখে থাকবে। এই দম্পতিকে অভিনন্দন’।
যদিও এটা কিন্তু প্রতীকের প্রথম বিয়ে নয়। এর আগে ২০১৯ সালে প্রযোজক সানিয়া সাগরকে বিয়ে করেছিলেন প্রতীক। ১১ বছরের বন্ধুত্ব এবং ২ বছরের প্রেম পরিণতি পেয়েছিল বিবাহ বন্ধনে। তবে বছর কয়েকের মধ্যেই ভাঙে সম্পর্ক। ২০২৩ সালের গোড়াতেই ডিভোর্স হয় দুজনের।
প্রতীক এবং প্রিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান
২০২৩ সালে প্রেমের সপ্তাহেই প্রিয়ার সাথে নিজের সম্পর্ককে ইনস্টাগ্রামে অফিসিয়াল করেছিলেন প্রতীক। ঠিক দু'বছর পর অভিনেতার প্রয়াত মা স্মিতা পাতিলের বাড়িতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই জুটি।
অভিনেতার সৎ ভাইবোন আর্য এবং জুহি পরে প্রকাশ করেছিলেন যে প্রতীক তাদের বা তাদের বাবাকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানাননি। বোম্বে টাইমসকে জুহি বলেন, এই মুহূর্তে প্রতীক 'এমন লোকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত' যারা তাকে 'প্রভাবিত' করেছেন। জুহি বলেন, ‘তবে আমরা তাকে মাঝখানে স্যান্ডউইচ করতে চাই না কারণ এটি কারও উপকারে আসবে না। আমি যখন স্যান্ডউইচ বলি, তার মানে এই নয় যে প্রতীক প্রিয়া আর আমাদের মাঝখানে ধরা পড়েছে—একেবারেই না। প্রিয়া খুব ভালো মেয়ে, এবং তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে এমন একজন পার্টনার পেয়েছে যে সত্যিই তাঁকে ভালবাসে এবং বোঝে। আসল স্যান্ডউইচ হচ্ছে অন্য কেউ- যারা প্রচার ও গুরুত্বের জন্য মরিয়া’।