ভারতের 'জাতীয় জিজু' নিক জোনাস সদ্য পা দিয়েছে ৩২-এ। ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার ছিল নিকের জন্মদিন। জন্মদিনটা কাজে কাজেই কাটালেন নিক, এদিন ছিল মার্কিন পপ তারকার কনসার্ট। তবে সেই সফরেও তাঁর সঙ্গী ভালোবাসার দুই মানুষ। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস এবং মেয়ে মালতি মেরি চোপড়া জোনাস। লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় জোনাস ব্রাদার্সের এই কনসার্ট। নিক এবং তার দুই দাদা জো জোনাস এবং কেভিন জোনাসের কনসার্টে একফ্রেমে পাওয়া গেল পুরো জোনাস পরিবারকে। এদিন সকালে প্রিয়াঙ্কা বরের জন্মদিনের মিষ্টি শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘সেরা স্বামী ও বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তুমি আমাদের সব স্বপ্ন সত্যি করো .. প্রতিদিন.. আমরা তোমাকে ভালোবাসি নিক’।
লন্ডনের বিখ্যাত ওটু এরেনা-তে হাজার হাজার অনুরাগীর সামনে গান গাইলেন জোনাস ভাইয়েরা। এই প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার মধুর স্মৃতি জড়িয়ে। ২৪ বছর আগের এক সন্ধ্যায় এইখানেই মিস ওয়ার্ল্ডের তাজ তাঁর মাথায় উঠেছিল। স্বভাবতই আগেবপ্রবণ অভিনেত্রী। সেই গল্প বলার পাশাপাশি কনসার্টের সময় এবং ব্যাকস্টেজে তোলা বেশকিছু ছবি ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে সবচেয়ে নজর কাড়ল মেয়ে মালতির সঙ্গে তোলা একটি ছবি।
প্রিয়াঙ্কার কোলে তাঁর আড়াই বছরের কন্যা। মেয়েকে কোলে নিয়েই রোম্যান্সে মজে জোনাস দম্পতি। বউয়ের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গাঢ় চুম্বন নিকের। আর বাবা-মা'কে লিপ কিস করতে দেখে লজ্জায় লাল মালতি। হাত দিয়ে দু-চোখ বন্ধ করল সে। সেই ছবি দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা। মালতির কিউটনেস মন জয় করেছে সবার।
মিস ওয়ার্ল্ডের শিরোপা জয়ের স্মৃতিতে ভেসে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, '২৪ বছর আগে এই জায়গাতেই আমি মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জিতেছিলাম। তখন এর নাম ছিল মিলেনিয়াম ডোম। আমি তখন সবে ১৮, উত্তেজিত, নার্ভাস এবং প্রতিযোগিতামূলক নিজের সেই স্বত্ত্বাকে কখনই ভুলব না, আমি যতটা সেরা হতে পারি হওয়ার চেষ্টা করছি। ২০০০ সালের ৩০শে নভেম্বরের একটি স্মৃতি আমি কখনই ভুলব না তা হ'ল একটি চমৎকার হেমন্ত ত্রিবেদী পোশাকের সাথে পেন্সিল হিলের ভারসাম্য বজায় রাখার অনুভূতি যা পুরো সন্ধ্যায় শরীর থেকে খুলে যাচ্ছিল। কারণ আমি এত ঘামছিলাম, যে টেপটি টিকছিল না।'
২৪ বছর পর বিরাট রহস্য ফাঁস করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, মঞ্চে তাঁর 'নমস্তে' পোজের পেছনের রহস্য। নায়িকার কথায়, ‘আপনি যদি ছবিগুলি গুগল করেন, আমার জয়ের পরের ছবি, মনে হে আমি কৃতজ্ঞতায় একটি নমস্তে করছি তবে আমি আসলে আমার পোশাকটি ধরে রাখার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছি। স্পষ্টতই আমি বেঁচে গেছি এবং শেষ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল ….’।