প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে বর্তমানে আর কোনও সন্দেহ বা দ্বিধা নেই তাঁর অতি বড় নিন্দুকদের মনেও। বলিউড হোক কিংবা হলিউড সর্বত্রই নিজের ছাপ বেশ জোরদারভাবেই ফেলেছেন 'পিগি চপস'। পাশাপাশি কাজের প্রতি এই অভিনেত্রীর কড়া নিয়মানুবর্তা মেনে চলার কথাও ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় সর্বজনবিদিত। নিজের প্রতিটি প্রোজেক্টের প্রতি সমান যত্নবান হয়ে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা তারকা হয়ে ওঠার আগে থেকেই। তবে জানেন কি এই প্রিয়াঙ্কাই একবার ছাড়তে চেয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালির 'বাজিরাও মাস্তানি' ছবির কাজ? শুধু তাই নয়, ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন তিনি! রীতিমতো কান্নাকাটি জুড়ে।
গোটা ঘটনাটি ফাঁস করেছিলেন রণবীর সিং। এক পুরোনো সাক্ষাৎকার চলাকালীন পাশে বসা প্রিয়াঙ্কার দিকে ইশারা করে মজার সুরে সেই ঘটনার কথা ফাঁস করেছিলেন স্বয়ং 'বাজিরাও'। বলি-তারকার কথাতেই জানা যায় সেই প্রথম নিজের কেরিয়ারে তিনি প্রিয়াঙ্কাকে দিশেহারা অবস্থায় দেখেছিলেন। রণবীরের কথায়, 'বনশালির নির্দেশনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেহেতু এর আগে তেমনভাবে পরিচিত ছিলেন না প্রিয়াঙ্কা , তাই গোটা ব্যাপারটা তাঁর কাছে রীতিমতো অদ্ভুত লাগছিল। একদিন তো বলেই ফেলেছিলেন যে রাট ৯টা বেজে গেল অথচ সারাদিনে একটি শটও নেওয়া হল না! কী যে হচ্ছে ফ্লোরে তা প্রিয়াঙ্কার মাথায় ঢুকছিল না। রগে, দুঃখে, অবাক হয়ে অদ্ভুত অবস্থা হয়েছিল ওঁর!'

সামান্য থেমে রণবীর আরও জানিয়েছিলেন শেষপর্যন্ত আর থাকতে না পেরে শ্যুটিংয়ের তিন দিনের মাথায় 'বাজিরাও মাস্তানি' ছবিটি ছাড়তে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বেশ জোরের সঙ্গেই নাকি অভিনেত্রী বলে উঠেছিলেন এ কথা। রণবীরের কথায় যে এতটুকুও মিথ্যে নেই তা বোঝা গেছিল পাশে বসা প্রিয়াঙ্কার হাবভাব দেখে। মুখে কিছু না বললেও , হাসতে হাসতে ছদ্ম কান্নার ভঙ্গিমা করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওই ছবি শ্যুটিংয়ের সময় তাঁর মনের অবস্থা ঠিক কেমন হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে 'বাজিরাও মাস্তানি' মুক্তি পাওয়ার পরে বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল এই ছবি। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে না থাকলেও প্রিয়াঙ্কার পারফরমেন্স ছবি সমালোচকদের অকুন্ঠ তারিফ কুড়োনোর পাশাপাশি আদায় করে নিয়েছিল একাধিক নামি দামি ফিল্মি পুরস্কার।