‘কালো আর ধলো বাহিরে কেবল ভিতরে সবারই সমান রাঙা’-কবির এই মন্ত্রকেই যেন হাতিয়ার করে লড়াইতে নেমেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি তাঁর পার্পল পেবল পিকচার এবং জেসন ব্লুমের ব্লুম হাউস প্রোডাকশনের ব্যানারে মুক্তি পেয়েছে 'ইভিল আই'।তবে প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছে এই প্রোজেক্টের তাৎপর্য অসীম , কারণ এই ছবিতে দুটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাদামি চামড়ার অভিনেত্রী- সরিতা চৌধুরী এবং সুনিতা মানি।
এছাড়াও ছবিতে যে মা-মেয়ের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে তা নিয়েও রীতিমতো উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। বাস্তবিকে নিজের মা এবং একাধারে সহযোদ্ধা মধু চোপড়ার সাথেও তাঁর সম্পর্কের বোঝাপড়া যে অতুলনীয় তাও স্বীকার করে নেন দেশি গার্ল। তবে তাঁর আসল স্বপ্নের কথা খোলসা করলেন ইটি-টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। জানালেন একদিন তিনিও এমন এক হলিউডকে দেখতে চান যেখানে শুধু সাদা চামড়ার আধিপত্য থাকবে না। সমানভাবে স্বীকৃতি পাবেন তাঁর মতো বাদামি স্কিনটোনের দক্ষিণ এশিয়ার তারকারাও। ‘আজকের বিনোদন দুনিয়ার পাওয়ার হাউস আমাজন এবং ব্লুমহাউসের পর্দায় দেখা যাবে এমন ছবি যেখানে এই স্কিনটোনের আধিক্যের রমরমা দেখা যাবে। এই মানুষেরাই হবেন প্রধান তারকা। তাঁদেরকেই দেখা যাবে পোস্টারে’, স্বপ্ন বেওয়াচ তারকার।
মাধুরী শেখরের অন্যতম বেস্ট সেলার উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হয়েছে ইভিল আই।পরিচালনায় এলান দাসানি এবং রাজীব দাসানি। আদপে রোমান্স দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে ছবির গল্প ডার্ক জঁরের দিকে টার্ন নেয়। মূলত ভারতীয় সংসকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা কুংস্কার নিয়েই এই ছবির কাহিনি। সুনিতা এবং সরিতা ছাড়াও ছবিতে ওমর মাসকটি এবং বার্নার্ড হোয়াইটকেও দেখা গিয়েছে। ১৩ অক্টোবর থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে ইভিল আইয়ের।