নাকের সার্জারির পরে আচমকা আলাদা দেখাতে লাগছিল প্রিয়াঙ্কার মুখ। ২০০০ সালের ঘটনা। সার্জারির পর কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল অভিনেত্রীর? আত্মজীবনী ‘আনফিনিসড’-এ অতীতে কাহিনি তুলে ধরেছেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি সেই সময় তাঁকে ‘প্লাস্টিক চোপড়া’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
আত্মজীবনীতে নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, তাঁকে অনেকেই বলেছিল তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে কারণ তাঁর নাকের ভিতর পলিপ (polyp) রয়েছে। অস্ত্রোপচারের দ্বারা সেই ছোট্ট সমস্যা দূর করতে গিয়েই মহাবিপদে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। ২০০০ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব জেতার পরের বছর অভিনেত্রী এই অস্ত্রোপচার করেন। সেই সময় তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বইতে অভিনেত্রী লিখেছেন, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক তাঁর নাকের মাংশপেশীর সঙ্গে নাকের বাইরের কিছু অংশ অস্ত্রোপচার করেন। এরপর ব্যান্ডেজ খুলতেই তিনি এবং তাঁর মা মধু চোপড়া দেখে ভয় পেয়ে যান। কারণ অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মুখ সম্পূর্ণ আলাদা দেখাতে শুরু করে। তাঁর নাক পাল্টে গিয়েছিল। তিনি আগের মতো নেই বলে মনে হয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী আরও জানান, সেই সময় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। আয়নার সামনে নিজেকে যতবার দেখতেন মনে হত অজানা কাউকে দেখছেন তিনি। কীভাবে এটা থেকে বেরিয়ে আসবেন, সেটা তিনি ভাবতেই পারছিলেন না তখন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘প্লাস্টিক চোপড়া’র তকমা পেয়েছিলেন। সেই সময় এই বিষয় নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে তিনি ভয় পেতেন। সম্পূর্ণ নতুন একটা নাকের বিষয় সবাইকে ব্যক্ত করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কারও সঙ্গে কথা বলবেন না এই ব্যাপারে।
তিনি আরও লেখেন, ব্যক্তিগত জীবনকে একটা সীমারেখার মধ্যে বেঁধে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাবলিক ফিগার হওয়ার দরুন অনেকেই তাঁর বিষয় জানতে চাইবে। তবে তিনি মনে করেন, অভিনেত্রী হওয়ার দরুন কাউকে হাসানো বা কাঁদানোর ক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দিয়ে অভিনয় করবেন তিনি। এগিয়ে যাবেন, নাচের ছন্দের মাধ্যমে জীবনে প্রত্যেকটা পদক্ষেপের চিহ্ন ফেলে যাবেন। কিন্তু পাবলিক ফিগার হওয়ার দরুন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের যতটুকু প্রয়োজন শুধুমাত্র ততটুকুই সবাইকে জানাবেন।
সবশেষে অভিনেত্রী লেখেন, আগে তিনি আয়নায় নিজেকে দেখলে অচেনা বলে মনে করতেন। তবে এখন নিজেকে এভাবে দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এখন নিজেকে আলাদা দেখে শান্তিও পান প্রিয়াঙ্কা।