২০২২ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের ঘর আলো করে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান। মেয়ে মালতি মেরি চোপড়া জোনাস। মালতি সারোগেসির মাধ্যমে জন্মে ছিল। মেয়ে জন্মানোর খুশিতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন দম্পতি। কিন্তু, শুধুই আনন্দ ছিল না, ছিল অনেকটা ভয়ও। কীসের? প্রিয়াঙ্কা সম্প্রতি জানান, মালতি প্রি-ম্যাচিওর অবস্থায় জন্মে ছিল, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই জন্মের পর তার বড় হয়ে ওঠার জার্নিটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। মেয়ের সুস্থতার জন্য প্রিয়াঙ্কা ও নিককে যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল, তা অভিনেত্রী শেয়ার করেন সম্প্রতি।
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, সেই সময় মালতিকে হারানোর ভয় তাঁদের মধ্যে বারবার কাজ করেছিল। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মালতির জন্মের সময় খুব চিন্তিত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সাত বছর ধরে এই চরিত্রের আত্মা আমি নিজের মধ্যে বহন করছি’: ‘ অথৈ’ প্রসঙ্গে অর্ণ মুখোপাধ্যায়
মালতির জন্মের পরের কঠিন সময়ের কথা জানান প্রিয়াঙ্কা
এলি ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘মালতি ওর ছোট ছোট আঙুলগুলো দিয়ে আমাকে জড়িয়ে রেখেছিল। আমি তখন বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে ওকে কীভাবে শান্তি দেব, আমার মধ্যে কী সেই শক্তি আছে? যে কোনও সময় মালতিকে হারিয়ে ফেলব, এরকম পরিস্থিতি অনেকবার তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমি শুধু ওকে সুস্থ আর খুশি দেখতে চেয়েছিলাম। আমি মালতিকে খুব সুখী, প্রচন্ড হাসিখুশি এবং সুস্থ দেখতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য। ওর হাসি দেখে আমি আনন্দিত হয়ে যাই, ও হাসলে আমার জগৎটা আলোয় ভরে ওঠে। আমি শুধু ওকে ভালো রাখতে চাই ব্যস।’
আরও পড়ুন: 'আমাকে গালাগাল শুনতে হবে…' সায়নীর জয়ের পর ছবি পোস্ট বিতর্কে মুখ খুললেন স্বস্তিকা
টুডে শোকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা আরও বিশদে জানান এই বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘যে মুহূর্ত থেকে মালতি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত, ও কখনোই আমাদের ছাড়া থাকেনি। আমি মনে করি না যে, মালতির জন্মের সময় আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। বরং আমার মনে হয়, এই সময়টা আমাকে শক্ত থাকতে শিখিয়েছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলাম যে, এটা আমার ভয় পাওয়ার মতো সময় নয়। দুর্বল হওয়ার মতো বিলাসিতা করার সময় আমার কাছে ছিল না। প্রতিটি মুহূর্তে আমি অনুভব করতে পেরেছিলাম যে মালতি খুব ভয় পেয়ে আছে, আমাকে ওর শক্তি হয়ে উঠতে হবে। ও যে একা নয়, সেটা প্রতি মুহূর্তে ওকে অনুভব করাতে হবে। আর সেটা সফল ভাবে আমরা করতে পেরেছি।’
নায়িকা আরও বলেন, ‘মনিটরে ওর হৃদস্পন্দন দেখে আমাকে তখন বুঝতে হতো ও বেঁচে আছে কি না। আমি তখন টানা কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি কারণ, মনিটর ছাড়া ওকে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। আমি মালতির বুকে কান দিয়ে শুনতাম ওর হৃদস্পন্দন। মিনিটে মিনিটে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম ও ঠিক আছে কি না, কয়েক সপ্তাহ টানা এইভাবে থেকেছি।’