‘পাপা কি পরী’- কেরিয়ারের শুরু থেকেই এই ট্যাগটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বাবা ছিল পিগি চপসের সবচেয়ে কাছের মানুষ। বাবা ডাঃ অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। আজও সব খুশির মুহূর্তগুলোতে বাবাকেই সবচেয়ে বেশি মিস করেন দেশি গার্ল। সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন বাবা তাঁকে পশ্চিমী পোশাক খুব বেশি পরতে দিতেন না, বিশেষত শরীরের সঙ্গে এঁটে থাকা পোশাক নিয়ে ছিল বাবার ঘোরতর আপত্তি।
প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্য নিয়েই স্পটবয়ই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুখ খুললেন নায়িকার মা মধু চোপড়া। প্রিয়াঙ্কার উপর বাবার আরোপ করা বিধিনিষেধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ আপনি ভাবুন ওর বয়স ছিল ১৫-১৬ বছর এবং ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছে। স্বাভাবিকভাবে গ্ল্যামারাস ওয়েস্টার্ন আউটফিট নিয়ে প্রিয়াঙ্কার বাবার আপত্তি থাকবে। আমরা সেই সময় রায় বরেলিতে ছিলাম’। তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস করুন দু-তিন দিন বলবার পর প্রিয়াঙ্কা পুরোনো অবতারে ফিরে এসেছিল। ওয়েস্টার্ন পোশাক ছেড়ে ভারতীয় পোশাক পরা শুরু করে। কোনওদিনই আমাদের কষ্ট দেয়নি ও। খুব বুদ্ধিমান মেয়ে।
টাটলের ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন কিছুদিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। এরপর দেশে ফেরার পর বাবা মেয়েকে নিয়ে বেশ দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল।কারণ ছোট্ট প্রিয়াঙ্কা তখন সদ্য যৌবনের দিকে পা বাড়াচ্ছে। নায়িকার কথায়, যখন আমি ভারত থেকে যাই তখন আমি ছিলাম ১২ বছরের কোঁড়ানো চুলওয়ালা একটা বাচ্চা মেয়ে, কিন্তু ১৬ বছর বয়সে যখন ফিরি তখন আমি একজন সম্পূর্ন নারী। এই বিষয়টা বাবাকে বেশ নাড়িয়ে দিয়েছিল। উনি বেশ কয়েক সপ্তাহ বুঝে উঠতে পারেননি আমাকে নিয়ে কী করবে!
এরপর ছেলেরে তাঁর পিছু ধাওয়া করা শুরু করলে বাবা প্রিয়াঙ্কাকে শরীরের সঙ্গে এঁটে থাকা ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে বারণ করেন। যদিও পরে বাবার মন পাল্টেছিল বলেই মনে করেন দেশি গার্ল। তাঁর কথায়, বাবা বলত, যা কিছু ঘটে যাক-ভালো, খাবার, খুব খারাপ তুমি আমাকে এসে সেটা বলবে। এবং আমি সেটা শুধরে দেব। আমি কোনদিনই তোমাকে সেই কাজটা দিয়েই বিচার করব না। সবসময় তোমার পাশে থাকব। তোমার দলে’।
আপতত লস অ্যাঞ্জেলসে স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে ঘরবন্দি রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। করোনা পরিস্থিতির জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। মধু চোপড়া জানান, হ্যাঁ ইউএসের অবস্থা খুব খারাপ। তবে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, ফেস টাইমে দিনে বেশ কয়েকবার কথা হচ্ছে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে।