প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) তাঁর জীবনের এক অজানা গল্প প্রকাশ্যে আনলেন। জানালেন তিনি যখন মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছিলেন তখন তাঁর বাবা অশোক চোপড়া তাঁর ঘরের জানলায় গ্রিল বসিয়েছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান একবার একটি ছেলে তাঁদের বাড়ির বারান্দায় উঠে পড়েছিল। তারপর থেকে তাঁর বাবা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর তার বাবা তাঁকে ঢিলে পোশাক পরতে বলেছিলেন। বলেছিলেন ভারতীয় জামা কাপড় পরতে। অভিনেত্রী বলেন তখন তাঁর কাছে কোনও ঢিলে পোশাক ছিল না। বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর বাবা টিশার্ট পরতেন জিন্স দিয়ে। সকলেই তখন তাঁর সাজপোশাক নিয়ে কথা বলত বলেও জানান অভিনেত্রী।
হাওয়ার্ড স্টার্ন শোতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'আমার বাবা মাত্র ১২ বছর বয়সে আমায় বিদেশে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন কুল সাজতে গিয়ে সেখানে গিয়েই চুল কেটে ফেলি। এরপর আমেরিকান হরমোন, খাবার খাওয়ার ধরন ইত্যাদি নিয়ে ১৬ বছর বয়সে যখন দেশে ফিরি তখন আমি যেন এক যুবতী, আমার যেমনটা ভেবেছিলেন তার থেকে অনেক বেশি বড় হয়ে উঠেছিলাম আমি। আমি যখন আমাদের সেই ছোট শহরে ফিরে আসি দেশে তখন আমায় বেশ কিছু ছেলে ফলো করত রাস্তায় বেরোলেই। একজন তো একবার রাতে বারান্দায় উঠে পড়েছিল। আমার বাবা এতটা ভয় পেয়ে যান যে উনি বাধ্য হয়ে জানলায় গ্রিল বসান। উনি আমায় বলেন জিন্স নয়,। ভারতীয় পোশাক, চুড়িদার পরো। আমি যেখানেই যেতাম আমার সঙ্গে একজন ড্রাইভার যেতেন। এরপরই আমি আমার কেরিয়ারে প্রবেশ করি। আমার বাবার জন্য আমার ভীষণ খারাপ লাগে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি তখন ওটার গুরুত্ব বুঝিনি। আমি ভেবেছিলাম আমি অজেয়। আমি এখন যখন ভাবি নিজেই অবাক হয়ে যাই এটা ভেবে যে আমি ওটা কী করেছিলাম! আমি তখন ভাবতাম আমি যা খুশি করতে পারি। কিন্তু সেদিন রাতে আমার ঘরের বাইরের বারান্দায় যখন একজনকে দেখলাম তখন আমি চিৎকার করে বাবার কাছে চলে যাই। বাবা আসায় সেই লোক পালিয়ে গেলেও বাবা বলে আমায় এবার কড়া নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। আমার জীবনের ওই দুটো বছর আমি ভীষণ অহংকারী হয়ে উঠেছিলাম। ধরাকে সরা জ্ঞান করতাম।'
প্রিয়াঙ্কারা দুই ভাই বোন। তাঁর ভাইয়ের নাম সিদ্ধার্থ চোপড়া। ২০১৩ অভিনেত্রীর বাবা ক্যানসারে মারা যান। বর্তমানে অভিনেত্রী নিক জোনাসকে বিয়ে করে তাঁর এবং তাঁদের সন্তানকে নিয়ে আমেরিকাতেই থাকেন।