নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে একটানা ১০০ দিন কাটিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরেছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার একরত্তি মেয়ে। মাদার্স ডে-র দিন মেয়ের ঘরে ফেরাকে আরও বেশি স্পেশ্যাল করে তুললেন নিয়াঙ্কা। এদিন মেয়ের প্রথম ঝলক দুনিয়ার সামনে আনলেন ‘দেশি গার্ল’। ইনস্টাগ্রামে পিগি চপস মেয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করবার সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পরে গিয়েছে। যদিও মেয়ের মুখ আড়ালেই রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা। মালতি মেরি চোপড়া জোনাসকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বি-টাউনের মাসি,মামারা। রণবীর সিং, সোনম কাপুর, প্রীতি জিন্টা থেকে, প্রিয়াঙ্কার বোন পরিণীতি চোপড়া সকলেই খুদের জন্য একরাশ ভালোবাসা পাঠিয়েছেন।
ঠাকুমা ডেনিস আর দিদিমা মধু চোপড়াও প্রাণভরে আর্শীবাদ করেছেন মালতিকে। প্রায় তিন মাস আগে জন্ম হয়েছে প্রিয়াঙ্কার সারোগেট বেবির। এপ্রিল মাসে জন্মের তারিখ নির্দিষ্ট ছিল, কিন্তু ১২ সপ্তাহ আগেই প্রিয়ঙ্কা-নিকের সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সারোগেট মা। সময়ের আগেই জন্মানোয় শিশুর বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল, এরজন্যই নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল খুদেকে। আর এই তিনমাস প্রিম্যাচিওর মালতিকে আগলে রাখতে কোনও খামতি রাখেননি প্রিয়াঙ্কা-নিক। মালতির মা-বাবার সেই যুদ্ধের কথা অবশেষে প্রকাশ্যে আনলেন পরিণীতি। জেঠুর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামীর উদ্দেশে পরিণীতি লেখেন, ‘গত তিন মাস তোমাদের এ রকম ভাবেই দেখেছি। আর মিমি দিদি (প্রিয়াঙ্কাকে এই নামে ডাকেন পরিণীতি), হাসপাতালে আমি এক জওয়ানকে দেখেছি টানা দাঁড়িয়ে থাকতে। সেটা হল তুমি। একরত্তি যে এই কয়েক দিনেই নিজের অজান্তে আমাদের কত কী শিখিয়ে দিল… চলো, এ বার তার দুষ্টুমিকে প্রশ্রয় দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’
হ্যাঁ, মাসিমণি পরিণীতি কিন্তু রীতিমতো তৈরি বোনঝির সব আবদার মেটানোর জন্য, তাঁর দুষ্টুমিকে প্রশয় দেওয়ার জন্য।
মেয়ের ছবি পোস্ট করে এদিন দীর্ঘ বার্তা লেখেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রী জানান, মেয়ে প্রিম্যাচিওর হওয়ায় ১০০ দিন মালতিকে কাটাতে হয়েছিল হাসপাতালের এনআইসিইউ-তে। অভিনেত্রী নিজের পোস্টে হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্সদের ধন্যবাদ জানান, মেয়েকে সুস্থ করে তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। সঙ্গে লেখেন ‘আমাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হল। আর আমাদের বাচ্চা অদম্য। শুনে রাখো এমএম! মা-বাবা তোমায় খুব ভালোবাসে। আমার জীবনের ও চারপাশের সব মায়েদের ও কেয়ারটেকারদের হ্যাপি মাদার্স ডে। তোমরা না থাকলে সবকিছু এত সহজ হত না। ধন্যবাদ… সঙ্গে নিক তুমি না থাকলে আর কারও সঙ্গে এটা করার কথা ভাবতেও পারব না। ধন্যবাদ আমাকে মা বানানোর জন্য।’