ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বছর দুইয়েক আগে সাত পাকে বাঁধা পড়েন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজস্থানের যোদপুরের উমেদভবনে হিন্দু ও ক্যাথলিক দুই রীতিতে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন বলিউডের ‘গ্লোবাল আইকন’। বয়সের পার্থক্য, সাংস্কৃতিক দূরত্ব- কোনটাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি 'নিয়াঙ্কা'র সম্পর্কের মাঝে।
বিয়ের পর আপতত পাকাপাকিভাবে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা, কাজের সূত্রে যদিও মুম্বইতে যাতায়াত রয়েছে তাঁর। বিয়ের পর নিজের নাম বদলে ফেলেন পিগি চপস। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে হয়ে যান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত? সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমি আমার নাম পালটেছি। আমার মনে হয় আমার নামের সঙ্গে আমি নিকের নাম জুড়েছি। আসলে আমি চেয়েছিলাম আমাদের ঐতিহ্যকে মান্যতা দিতে। কিন্তু একই সময়ে আমি নিজের পরিচিতিটাও হারাতে চায়নি। এটা মধ্যবর্তী রাস্তা বলতে পারেন। আমি জন্মসূত্রে একটা সুন্দর নাম ও পদবি পেয়েছি- সেই লেগাসিটা আমি ধরে রাখতে চাই’।
সঙ্গে মিসেস নিক জোনাস যোগ করেন, ‘আমাকে কেউ জোর করেনি কিন্তু, আমি স্বেচ্ছায় এটা করেছি। আর এর পিছনের একমাত্র কারণ হল আমি এই চিন্তাধারা নিয়েই বড় হয়েছি। আশা করছি, ৫০ বছর পর হয়ত ছেলেরাও তাঁদের নামের পাশে আমাদের নাম যোগ করবে। অথবা আমাদের নাম পালটাবে না, হয়ত সেটা তখন নর্ম্যাল হবে। কিন্তু আমি যখন বিয়ে করেছি তখন সেই পরিস্থিতি ছিল না। আমি আমার বাবা-মায়ের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে চেয়েছি, এবং সেই কারণেই এই পরিবর্তন’।
উল্লেখ্য, বিয়ের পর প্রিয়াঙ্কা নিজের পদবির পাশে নিকের পদবি যোগ করলেও দীপিকা পাড়ুকোন, অনুষ্কা শর্মারা কিন্তু নিজের নামে কোনও পরিবর্তন আনেননি। সেটাও তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
অভিনেত্রী, প্রযোজক, গায়িকা হিসাবে নিজের প্রতিভা আগেই প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এবার লেখিকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে প্রিয়াঙ্কার আত্মজীবনী ‘আনফিনিসড’। জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা, দুঃখ, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ এবং কেরিয়ারের চড়াই উতরাই নিয়ে বহু অজানা রহস্য ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী।