বছরখানেক আগে যখন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আর প্রিয়াঙ্কা সরকার নিজেদের ডিভোর্সের মামলা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন বেশ খুশি হন তাঁদের ভক্তরা। যদিও বিয়ে না ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেও, সব এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই মত দুই তারকার কাছের মানুষদের। বরং, আরও খানিকটা সময় নিচ্ছেন। এখনও এক ছাদের তলায় পাকাপাকিভাবে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তও নেননি রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা। মা-বাবার সঙ্গে থাকেন প্রিয়াঙ্কা তাঁর ছেলে সহজকে নিয়ে। আর রাহুল থাকেন একা। তবে কাজ না থাকলে বা সপ্তাহান্ত চেষ্টা করেন একসঙ্গে কাটাতে।
দুর্গাপুজোয় এক পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হল প্রিয়াঙ্কা আর সহজের একটি মিষ্টি ভিডিয়ো। সেখানে রাহুলের দেখা নেই। বরং মা-ছেলে ম্যাচিং পোশাকে। প্রিয়াঙ্কার শাড়ির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে সহজের পাঞ্জাবির রং ও ডিজাইন। বোঝা গেল, পুজো উদ্বোধনে এসেছিলেনপ্রিয়াঙ্কা। আর মাকে সঙ্গ দিয়েছে ছোট্ট সহজ।
প্রিয়াঙ্কার বয়স যখন মাত্র ১৩, ঠিক তখন থেকেই তিনি রাহুলকে চেনেন। তবে তখন রাহুল পরিচিত ছিল অরুণোদয় নামে। সেসময় রাহুল ছিলেন অন্য সম্পর্কে, আর প্রিয়াঙ্কারও ভালো লাগত অন্য কাউকে। নিজেদের ভালোলাগা ভাগ করে নিতে গিয়েই একসময় একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। ঘটা করে বিয়ে করেন ২০১০ সালে। তখন তিনি মাত্র ২০ বছরের। এরপর কিছু বছর গড়াতে না গড়াতেই সমস্যা শুরু। ছেলের জন্মের পরপরই ২০১৭ সালে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই থেকে দীর্ঘসময় ঝুলে ছিল ডিভোর্স। পরে ২০২৩ সালের শেষে গিয়ে আলাদা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে। আসলে সহজই ‘সহজ করে দিয়েছে’ মা-বাবার দূরত্বকে।
আরও পড়ুন: আরজি কর ঘটনা নিয়ে ‘চালচিত্র’ সিনেমা বানিয়েছেন প্রতীম ডি. গুপ্তা? বিতর্ক বাড়তেই মুখ খুললেন পরিচালক
একবার প্রিয়াঙ্কা বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা একে অপরকে দোষারোপ করেছি। তবে আমি বুঝেছি আমারও কিছু ভুল ছিল, আর সেগুলি আর না করার চেষ্টা করছি। আর রাহুলও এখন অনেক পরিণত। তাই ওকে আরেকবার সুযোগ দিতে চাই।’
চিরদিনই তুমি যে আমার-মুক্তির এত বছর পরেও রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জুটিকে নিয়ে চর্চা থামেনি। বরং, সব ভক্তরাই চায়, তাঁরা আবার একসঙ্গে ফিরুক বড় পর্দা কাঁপাতে।