বছরের শুরু থেকেই একের পর এক খারপ খবর আঘাত হানছে বি-টাউনে৷ বলিপাড়ায় আবারও শোকের ছায়া, বিনোদন জগতের সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না৷ আবারও প্রকাশ্যে এল দুঃসংবাদ। প্রয়াত পরিচালক-প্রযোজক রাজেশ মিত্তল৷ ৬৯ বছর বয়সে তিনি শেষ করলেন তাঁর পথ চলা৷
ভারতীয় বিনোদন জগতে তাঁর কাজ বহু চর্চিত। জনপ্রিয় পরিচালক-প্রযোজক চলতি বছরের ২ অগস্ট সকাল ৭ টায় মুম্বইতে তাঁর বাসভবনে মারা যান। ইহলোক ছেড়ে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ২০২৪ সালের ৩ অগস্ট ১২ টা বেজে ৩০ মিনিটে চরাই হিন্দু শশ্মানে পরিচালক তথা প্রযোজক রাজেশ মিত্তল শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: ওটিটিতে নেই সুযোগ, দর্শকের জন্য শেষমেষ কোথায় ভটভটি রিলিজ করছেন তথাগত?
রাজেশ মিত্তল তাঁর কাজের মাধ্যমে ভারতের বিনোদন জগতে বিশেষ ভাবে ছাপ ফেলেছেন। ছবির দুনিয়ায় তাঁর প্রভাব অনস্বীকার্য। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে তিনি একের পর এক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন৷ স্বল্প বাজেটের ছবি নির্মাণের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন৷ পরিচালক তাঁর গোটা কর্মজীবনে মোট ৪৫ টি ছবি বানিয়েছেন৷ যার প্রতিটিতে তাঁর নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। পাশাপাশি তাঁর সামান্য বাজেটের সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করার ক্ষমতাও প্রতিফলিত হয় তাঁর প্রতিটি ছবিতে। স্বল্প বাজেটের মধ্যে কীভাবে দারুণ গল্প উপহার দেওয়া যেত তা তিনি শিখিয়েছিলেন বলিউডকে। এই সময়কালে, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের মানচিত্রে নানা বৈচিত্র্য এনেছিলেন। পাশাপাশি সমৃদ্ধও করেছিলেন বিনোদন জগতকে।
আরও পড়ুন: 'আমার জন্য কাজ করবে…' করণের সঙ্গে দ্বন্দের পর নিখিলের দিকে ভরসার হাত বাড়ান সলমন খান
চলচ্চিত্র জগতে রাজেশ মিত্তলের অবদানগুলি বলে শেষ করার মতো নয়। গল্প বলার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পর্দায় গল্পকে আকর্ষক করে তোলার যে ক্ষমতা সেটাই পরিচালকের কাজকে অন্যদের থেকে আলাদা করত। তাঁর এই চলে যাওয়া তাই চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক বিরাট ক্ষতি।
তিনি কেবলমাত্র একজন পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন না বরং একজন পরিবেশক হিসেবেও তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল বিনোদন জগতে৷ তাঁর গল্প বলার ধরনও ছিল অন্যদের থেকে অনেকটা আলাদা৷ তাঁর এই অকালে চলে যাওয়া বিনোদন জগতের জন্য বড় ক্ষতি৷ তাঁর মৃত্যুর খবরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিনোদন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ পরিচালকের এই অকাল প্রয়ানে শোকাহত তাঁর সকল অনুরাগীরাও।