২০২২-এর সবচেয়ে উপার্জিত বাংলা ছবি দেবের হোম প্রোডাকশনে তৈরি প্রজাপতি। সেই ছবি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তবে সেসব ম্লান করে দিয়েছে ব্যবসার খতিয়ান। বলা ভালো, বাংলায় খুব কম ছবি দর্শকদের মধ্যে এরকম প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। টলি বাংলা বক্স অফিসের হিসেব অনুয়ায়ী মোট ৯.৯৩ কোটি ঘরে তুলেছে ছবিখানা।
টলি বাংলা বক্স অফিসের টুইট অনুযায়ী প্রথম দুই সপ্তাহে ছবি ব্যবসা করে আড়াই কোটির বেশি। তৃতীয় সপ্তাহে তা ১.৯৯ কোটি। এরপর ধীরে ধীরে কমলেও গোটা দেশে সগৌরবে চলেছে ছবিখানা। ৬ সপ্তাহ পর মোট অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ৯.৯৩ কোটি। প্রসঙ্গত, বাংলার হলগুলোতে শুধু নয়, দেশের অন্যান্য বড়-বড় শহরেও উড়েছে প্রজাপতি।
বাবা-ছেলের সম্পর্কের সুমধুর রসায়ন দর্শককে হাসিয়েছে-কাঁদিয়েছে। বাবার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, যাতে বাড়িতে একটা সঙ্গী অন্তত পায় দুটো কথা বলার। তারই মাঝে নিজেরই প্রেমে পড়া, এরপর ছেলের জন্য সর্বোস্ব আত্মত্যাগের গল্প, ছেলে-বাবার মান-অভিমান এই ছবির ইউএসপি। একাধিক মনে রাখার মতো মুহূর্ত দর্শকদের সামনে উপাস্থাপন করেছেন দেব-মিঠুন।
প্রযোজনায় হাত পাকানোর পর থেকেই বরাবর অন্যরকমের ছবি বাঙালি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দেব। নিজেও বেরিয়ে এসেছেন বাধাধরা ছক ভেঙে। তবে প্রজাপতি-র ব্যবসায় হাওয়া দিয়েছে বিতর্কও। যা শুরু হয়েছিল এই সিনেমা নন্দনে জায়গা না পাওয়ায়। ছোট্ট একটা টুইট করেছিলেন দেব শুধু তখন। তাতেই লেগে যায় রাজনৈতিক রং। দিলীপ ঘোষ বলে ওঠেন, ছবিতে বিজেপির মিঠুন থাকাতেই তা চালানো হয়নি নন্দনে। যার জবাবে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন, ছবিতে দেব ভালো অভিনয় করলেও, মিঠুন চক্রবর্তী দায়িত্ব নিয়ে ডুবিয়েছে। সেই জায়গায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে ভালো হত। মুখ খোলেন দেবও তারপর। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ছবির ব্যাপারটা তাঁর উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
দেব-মিঠুন ছাড়াও এই ছবিতে দেখা মিলেছে মমতা শঙ্কর, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শ্বেতা ভট্টাচার্য, কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের।