বেশ ধুমধাম করেই ফোঁটা পালন করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। এই দিনটা বুম্বাদার জন্য আরও একটা কারণে বিশেষ, আর সেটা হল খাওয়াদাওয়া। কারও আর জানতে বাকি নেই যে, শসা-টক দই খেয়েই থাকেন বছরের বাদবাকি দিনগুলো তিনি। সঙ্গে স্যালাড। তবে এই ভাতৃদ্বিতীয়ার দিনটায় খাওয়াদাওয়া করেন কবজি ডুবিয়ে। তবে এবার ভাইফোঁটা হচ্ছে না বলেই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন পল্লবী!
আসলে পল্লবী এখন কাজের সূত্রে রয়েছেন মুম্বইতে। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কোনো কারণে প্রসেনজিৎ কোনো কাজে মুম্বইতে এলে তবেই ভাইফোঁটা হবে। তবে ভিডিয়ো কলে ফোঁটা দেওয়ার কথা তিনি ভাবেনও না। মন্দিরে গিয়ে ফোঁটা দিয়ে আসবেন। জানালেন, দুজনের কাছেই কাজ সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি। কাজের সঙ্গে আপোস করা তাই একেবারেই না পসন্দ।
আরও পড়ুন: বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন! পাপারাজ্জি দিখেই ‘না’, কেন ফোটো তুললেন না তনুজা
ভাইফোঁটার দিন অর্পিতা সাধারণত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করেন দাদার জন্য। বোনের হাতে পাতলা পটনের ঝোল খেতে খুব পছন্দও করেন প্রসেনজিৎ। শুধু তাই নয়, ছোট থেকে এদিনটায় ফোঁটা দেওয়ার পর পায়েস খাওয়ান দাদাকে। আগে যা মা রান্না করে দিত, এখন পল্লবী নিজে রাঁধেন। আর ডায়েট শিকেয় তুলে প্রসেনজিৎও অন্তত ২ চামচ তোলেন মুখে। এখন দেখার, কোনো আছিলায় দাদা ছুটে যান নাকি, প্রিয় বোনের কাছে। আর সেই ছবি দেখে উৎফুল্ল হয় সোশ্যাল মিডিয়ার ভক্তরা।
আরও পড়ুন: তথ্যের গরমিল কেবিসি-তে! অমিতাভের করা প্রশ্নে ভুল নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
আসলে, গত বছরও মুম্বইতে ছিলেন পল্লবী। এরকমই ভেবে রেখেছিলেন যে, হয়তো ফাঁটা হবে না। কিন্তু দেখা যায় ঠিক পৌঁছে যান প্রসেনজিৎ। যদিও সেই সময় তাঁর কাজ ছিল মায়ানগরীতে। আসলে দুই বহুচর্চিত ওয়েব সিরিজ ‘জুবিলি’ এবং ‘স্কুপ’-এর কাজ চলছিল।
আরও পড়ুন: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম…’! ভাষাই বদলে দিলেন মমতা, ভাতৃদ্বিতীয়ায় মমতার নতুন গান
সেবার হলুদ শাড়িতে সেজেছিলেন পল্লবী। আর হালকা নীল হাফ হাতা শার্ট আর টর্নড জিনস পরেই ফোঁটা নেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’। সেই ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লেখেন, ‘কলকাতা হোক বা মুম্বই, ভাইফোঁটার আনন্দ মিস করা যায় না। আশা করি সকলেরই খুব ভালো কাটছে দিনটা।’ এবারও সেরকম চমক কি আসবে?