বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Rituparno Ghosh: ‘অনেক বাকি ছিল বন্ধু!’, ঋতু-হারানোর দিনে মন খারাপ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার

Rituparno Ghosh: ‘অনেক বাকি ছিল বন্ধু!’, ঋতু-হারানোর দিনে মন খারাপ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার

নেই ঋতুপর্ণ, মন খারাপ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাদের। 

ঋতুপর্ণ চলে গিয়েছেন ১০ বছর হল। তবুও তাঁর না থাকা আজও কাঁদাচ্ছে বাঙালিকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ মানুষদের কাছে এ বড়ই মন খারাপের দিন। 

সালটা ছিল ২০১৩। দিনটা ৩০ মে। সকলকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। সেই দিনটা এখনও কালো হয়ে আছে সকলের মনে। ভুলতে পারেননি সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। এই দিনটা এলেই তাই মনখারাপ থাকে টলিউডের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। মঙ্গলবার প্রিয় বন্ধু-পরিচালকের ছবি শেয়ার করে করলেন স্মৃতিচারণ।

ঋতুপর্ণর ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখলেন, ‘ঋতু, তুই নেই এটাই এখনও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। কত আড্ডা, কত আলোচনা এখনও তো বাকি ছিল বন্ধু। আমি জানি এখনও তুই নতুন নতুন গল্প ভেবে যাচ্ছিস, বেশ কিছু স্ক্রিপ্টের খসড়া তৈরি আছে। আমার নতুন কাজগুলো নিয়েও নিশ্চয়ই অনেক কিছু বলার আছে... ভালো থাকিস বন্ধু।’ আরও পড়ুন: বাড়িওয়ালির জন্য আমার ডাবিং ফেলে দিয়ে বেণুকে দিয়ে ডাবিং করায় ঋতু: চিরঞ্জিৎ

উনিশে এপ্রিল’, ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, ‘উৎসব’, ‘খেলা’-র মতো একাধিক সিনেমায় ঋতুপর্ণর পরিচালনায় কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ। তাঁদের বন্ধুত্ব কখনোই আটকে ছিল না কাজের জগতে। বরং তাঁর কাছে ঋতু ছিল ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজফার গাইড’। আরও পড়ুন: 'সকাল ছয়টায় গভীর আলোচনা থেকে গসিপ সব করতে পারত ঋতুদা', ঋতুপর্ণর স্মরণে সৃজিত

ঋতুপর্ণর সঙ্গে কাজ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। অভিনেত্রী বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘ঋতুপর্ণ ঘোষের চলে যাওয়া আমাদের জন্য এক ভীষণ বড় অসম্পূর্ণ ক্ষতি। একজন বাঙালি পরিচালক হয়ে তিনি সারা বিশ্ব জুড়ে সম্মান অর্জন করেছিলেন। ‘দহন’, ‘উৎসব’ ওঁর সাথে করা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি ছবি। আরও অনেক অনেক কাজ করা বাকি ছিল, দাদা হিসাবে আরও কিছু দিন যদি ওঁকে পেতাম!! ওঁর স্নেহ, ওঁর ভালোবাসা খুব মিস করি। অনেক স্মৃতি ওঁকে ঘিরে। কিন্তু আমার বিশ্বাস উনি যেখানে গেছেন হয়তো ওখানেও কিছু সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। ভালো থেকো ঋতু দা।’

১৯৯২ সালে কেরিয়ার শুরু করেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। সেই বছরই তাঁর প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পেয়েছিল। তার আগে বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। কিন্তু পুরোপুরি সিনেমা জগতে পা রাখা সেই প্রথম। ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘অসুখ’, ‘উৎসব’, ‘শুভ মহরত’-সহ তাঁর পরিচালিত কম বেশি প্রায় প্রতিটি ছবিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

 

 

বন্ধ করুন