শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অযোগ্য। এই ছবিতে ৫০তম বার জুটি বাঁধতে চলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একসময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাঁরাই। উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে যদি টলিউডে আরও দুটো নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয়, তবে তাঁরা হলেন প্রসেনজিৎ আর ঋতুপর্ণা।
এই দুই তারকার সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন। মাঝে বহু বছর একসঙ্গে কাজ করেনি। শোনা যায়, ভুল বোঝাবুঝি দূরত্ব এনেছিল দুজনের মধ্যে। অনেক বাঙালির মনেই প্রশ্ন জাগে, কোনওদিনও কি প্রেম করেছেন তাঁরা? শুধুই সহকর্মী বা বন্ধু ছিলেন, নাকি আরও কিছু ছিল দুজনের মধ্যে?
আরও পড়ুন: কানের রেড কার্পেটে প্রথম হাঁটলেন নাসিরুদ্দিন ও রত্না, ‘আমার অবাস্তব মনে হচ্ছিল…’
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি:
ভক্তদের মনে থাকা প্রশ্নকে আরও যেন একটু উস্কে দিলেন প্রসেনজিৎ। এই সময়কে বললেন, ‘উত্তম-সুচিত্রার প্রেম ছিল কি ছিল না? থাকুক না, কিছু জিনিস অজানা থাকুক, মানুষ ভাবতে থাকুক। যখন আমরা থাকব না, তখনও যাতে এই আলোচনাটা চলে।’
‘আমি তো বলেছি প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটাই হাতড়ে যাবে, ওদের মধ্যে সম্পর্ক কী ছিল!’, বলে উঠলেন ঋতুপর্ণা।
‘সব সম্পর্কের না বিশ্লেষণ হয় না। কিছু সম্পর্ক বিশ্লেষণের বাইরে। সেই জায়গাটাকে ছেড়ে রাখাই ভালো’, আরও বলতে শোনা গেল বুম্বাদাকে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৬ বছর, ১ ছেলের মা! বউ ঋদ্ধিমার হাতের স্পেশাল এই খাবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গৌরব
জুন মাসে মুক্তি পাচ্ছে অযোগ্য:
৭ জুন মুক্তি পাবে অযোগ্য। ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ জুটির ৫০তম সিনেমা এটি। তাঁরা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন শিলাজিৎ মজুমদার, লিলি চক্রবর্তীরা। পর্ণা ওরফে ঋতুপর্ণার প্রাক্তন প্রেমিক হল প্রসেন ওরফে প্রসেনজিৎ। আর পর্ণার স্বামী রক্তিমের শিলাজিৎ। তাঁদের ৩ জনের সম্পর্কের ওঠা-পড়া, জীবন চলাকে কেন্দ্র করেই এগোবে ছবির গল্প। ছবির পরিচালনায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে এই সিনেমা।
আরও পড়ুন: ‘লোকে বলে ভালো জিনিস…’! মিঠাই রানির প্রেম নিয়ে চর্চা, ইনস্টায় কী ইঙ্গিত সৌমিতৃষার
১৫ বছর একসঙ্গে কোনও সিনেমা আসেনি প্রসেনজিৎ আর ঋতুপর্ণার। দুজনে ফিরেছিলেন শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার প্রাক্তন দিয়ে। ব্লকবাস্টার হয়েছিল সেই সিনেমা। এরপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’ ছবিতে অভিনয় করেন। ২০২৪-এ ফের একবার পর্দায়। কৌশিক ছবি ঘোষণার সময় জানিয়েছিলেন, ‘আমার তো জানা নেই পৃথিবীর চলচ্চিত্র ইতিহাসে কোনও জুটি ৫০টা ছবি একসঙ্গে করেছে বলে।’ ছবির বেশিরভাগ শ্যুটিংই হয়েছে বাহালিদের প্রিয় ভ্রমণ স্থান পুরীতে। আপাতত ৭ জুনের অপেক্ষা।