আজ ভাইফোঁটা। ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনার দিন। ফোঁটা দেওয়ার ব্যস্ততা তুঙ্গে, বাদ নেই তারকারাও। মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইন, বাড়ি বাড়ি রকমারি খাবারের আয়োজন৷ তবে এই সব কোলাহল থেকে অনেক দূরে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। ভাইফোঁটার দিন মাকুর (বোনকে এই নামেই ডাকেন অভিনেতা) কাছ থেকে ফোঁটা না নিতে পারবার আফসোস ঘিরে ধরেছে তাঁকে। সেই মন খারাপের কথা এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উজাড় করে দিয়েছেন বুম্বাদা।
প্রত্যেক বছরই বুম্বাদা-র বালিগঞ্জের বাড়িতে ঘটা করে পালিত হয় ভাইফোঁটা। প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের নিজের এক বোন (পল্লবী চট্টোপাধ্যায়), তবে এই বিশেষ দিনে শর্মিলা সিং ফ্লোরা, মৌমিতা চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকেই বুম্বাদার দীর্ঘায়ু কামনা করে ফোঁটা দেন তারকাকে। কিন্তু এই বছর এই উত্সবের দিনে কর্মসূত্রে মুম্বইতে অভিনেতা। শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত বুম্বাদা। এদিন স্মৃতির পাতা হাতড়ে ফেলে আসা ভাইফোঁটার নানান মুহূর্ত ফ্যানেদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের দিনে আপনজনদের থেকে কর্মসূত্রে দূরে থাকতে মন খারাপ তো হয়ই। কিন্তু ভাই-বোনের বন্ধন সবসময় স্পেশাল... তাই এই দিনটায় দূরে থাকলেও ভালোবাসা একই থেকে যায়, স্মৃতিগুলোই মনকে খানিক ভালো করে দেয়। যাঁরা প্রত্যেকবছর ভাইফোঁটার দিনটা বিশেষ করে তোলেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য আমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইলো’।
অন্যদিকে অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বছর দাদা যেমন মুম্বইয়ে তেমনই তিনিও কলকাতার বাইরে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন অভিনেত্রী। পূর্বনির্ধারিত ওয়ার্ক কমিটমেন্টের জেরেই শহর ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে দাদার জন্য ভাইফোঁটার উপহার আগেভাগেই কিনে রেখেছেন। পারফিউম খুব পছন্দ করেন বুম্বাদা। সেটাই কিনেছে ছোট বোন। পাশাপাশি দিল্লি থেকে দাদার জন্য পছন্দ করে কিছু শীতের পোশাক কিনে আনবারও প্ল্যান রয়েছে। আগামী ১৫ই নভেম্বর কলকাতায় ফিরছেন তাঁরা। তারপর প্ল্যান করে হবে ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল ডিনার।