তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। কারণ তাঁর নাম প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়। শুধু ইন্ডাস্ট্রি নয় দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। করোনা সংকটেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে সোমবার অংশ নিলেন অভিনেতা।
বাংলার ছবির সুপরাস্টারের ফিল্মোগ্রাফিতে হিন্দি ছবির সংখ্যাটা নেহাত হাতেগোনা। বহু হিন্দি ছবির অফার ফিরিয়েছেন বুম্বাদা। পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোরাজুরিতেই ২০১২ সালে সাংহাই ছবিতে অভিনয় করেন প্রসেনজিত। সাংহাই'তে বুম্বাদার অভিনয় চমকে দিয়েছিল আরব সাগর পারের চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের। প্রসেনজিত এই জানান, ‘আমি তৈরি ছিলাম না, তিনবার দিবাকর কলকাতায় এসেছিল আমাকে রাজি করাতে। ওহ নিজেই সব দায়িত্ব নিয়েছিল।ছবিতে আমার স্ক্রিনটাইম খুব বেশি না হলেও তার প্রভাব মারাত্মক ছিল। কালকির (কোয়েচলিন) সঙ্গে ছবিতে আমার একটা অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল।যা ফ্রন্ট পেজ নিউজ হয়ে গিয়েছিল। ওই দৃশ্যটায় শুধু লাভ মেকিং ছিল তেমনটা নয়,ওই দৃশ্যটার মধ্যে প্রেম থাকার পাশাপাশি রাগ,অভিমান,ক্ষোভ সবকিছু ছিল।প্রায় সাড়ে চার-পাঁচ মিনিট লম্বা দৃশ্য ছিল ওটা। আমার এখনও মনে আছে ওই দৃশ্যে অভিনয়ের সময় কালকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা দৃশ্যটির মধ্যে এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলাম যে সিন শেষ হওয়ার পর আমার ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছিল। অর্থাত্ যে রাগটা দরকার ছিল ওই দৃশ্যে সেটা তুলে ধরতে আমরা পেরেছিলাম'।
বলিউড তারকাদের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো হলেও কেন হিন্দি ছবিতে কাজ করেন না প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়? অভিনেতার কথায়, ‘আজ্ঞার পর আমি কলকাতায় ছবির কাছে ব্যস্ত হয়ে যায়। এরপর আর হয়ে উঠেনি। তবে আমরা বাংলা ছবি করি বা মরাঠি ছবি করি, আমি ভারতীয় ছবির অংশ। বাংলা ভারতের বাইরে নয়, বাংলা ছবির প্রতি আমার কমিটমেন্ট অনেক বড়। সেটাতেই আমি খুশি। এখন স্টার প্রসেনজিত নয়,যদি অভিনেতা প্রসেনজিত্কে কোনও চরিত্র অফার করা হলে হয়ত আমি বিবেচনা করব (হিন্দি)’।
প্রসেনজিত আরজে জিনিয়ার সঙ্গে আড্ডায় জানান, সুজিত সরকারের মাদ্রাস ক্যাফের খলনায়কের চরিত্রটিতে অভিনয় করবার কথা ছিল তাঁর, তবে ডেট সমস্যায় সেই ছবির অফার ছেড়ে দেন প্রসেনজিত। সঠিক পরিচালক এবং সঠিক চিত্রনাট্য পেলে তবেই হিন্দি ছবির কথা চিন্তাভাবনা করবেন এই টলিউড তারকা। শীঘ্রই আদিত্য বিক্রমের একটি হিন্দি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করবেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।
প্রায় চার দশক দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারের ৩৪০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়। অনেক কঠিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিত্।তবে যে চারটি চরিত্র তাঁকে রাতের পর রাত ঘুমোতে দেয়নি তা হল- মনের মানুষের লালন,গুমনামীর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, এছাড়াও দোসরের কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এবং জাতিস্মরের কুশল হাজরা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।