লকডাউন অনেককেই অনেক নতুন জিনিস শেখাচ্ছে। কেউ পুরোনো হবিগুলো ঝালিয়ে নিচ্ছেন,কেউ আবার নতুন শখ তৈরি করছেন। আম জনতা থেকে তারকা সবার বাড়িতেই একই ছবি। টলিউড তারকা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় তিনি কীভাবে কাটাচ্ছেন এই লকডাউনটা?
সোমবার ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই রহস্য ফাঁস করলেন বুম্বাদা।
অভিনেতা জানালেন বাড়ির কাজ তিনি কোনদিন করেননি এটা এক্কেবারে ভ্রান্ত ধারাণা। তিনি বলেন ‘আমি জীবনে অনেক স্ট্রাগল করেছি।গত ১০-১২ বছরে হয়ত আমি একদমনই বাড়ির কাজ করিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে (কাকাবাবুর শ্যুটিং) সম্পূর্ন আইসোলেশনে ছিলাম। শুধু যে খাবার নিয়ে আসত তাঁর ছাড়া অন্য কারুর মুখ দেখিনি একটানা ১৫ দিন। আমার সব কাজ আমি নিজে করছিলাম। আমি টিমের অন্য সকলকেও সেই নির্দেশই দিয়েছিলাম। ঘরের কাজ করা মানেই খুব বড় কিছু করা নয়। কোন কাজ ছোট নয়, গাড়ি ধোওয়া, ঘর পরিষ্কার করা, কাপড়-জামা গুছিয়ে রাখা এগুলোও কাজ’।
খুব ভালো রান্না করতে না পারলেও, খিচুড়ি রেঁধে খাওয়ানোর কথা বললেন বুম্বা দা।
সারাটা দিন কীভাবে সময় কাটছে? প্রসেনজিত জানালেন-‘আমি এখন অনেক বেশি ঘুমোচ্ছি। ঘুমের সময় এদিক-ওদিক হয়ে গেছে। রাত পর্যন্ত জেগে থাকছি,দেরি করে ঘুম থেকে উঠছি। প্রচুর সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখছি।স্ক্রিট পড়ছি প্রচুর।নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করছি। জিমটা প্রতিদিন করছি। আর ওই একটু গল্প-গুজব করছি। ফোনে কথা হচ্ছে, তবে আমি আবার ফোন এক ঘন্টা ধরে বকবক করতে পারি না’।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট ও হিন্দুস্তান টাইমস। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানানো হচ্ছে।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ সরাসরি দান করা হচ্ছে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।