বাংলা ইন্ডাস্ট্রি বললেই হয়তো প্রথমে যে নামটা এখন মনে আসে তা হল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে যে মানুষটার এখন এত খ্যাতি, এত নামডাক, এত বৈভব; সেই মানুষটাই কিন্তু জীবনের একটা সময় কাটিয়েছেন অর্থকষ্টে। পরিবারের সেই দুর্দিনে প্রসেনজিতের ছোট বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল খুব ছোট বয়সে। তখন ১৮-র কাছাকাছিও পৌঁছননি পল্লবী। সঙ্গে পরিবারের পাশে থাকতে দাদার সঙ্গে চা বিক্রি করেছিলেন পল্লবী। এমনকী ট্যাক্সিও চালিয়েছেন। সেই সব কঠিন দিনগুলির কথা তিনি নিজের মুখেই বলেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের টক শো ‘অপুর সংসার’-এ।
মায়ের আপন মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে মাত্র ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়ে যায় পল্লবীর। সেই সময় প্রসেনজিতের মা অর্থাৎ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ভেবেছিলেন মেয়েকে বড় করে তোলায় যেন অভাব না হয়। তাই এত জলদি বিয়ে দিয়ে দেওয়া। তারপর শ্বশুরবাড়ি থেকেই স্কুলে যেতেন, সেখানেই ক্লাসিক্যাল গান শিখতেন। ১৫-১৬ বছর বয়সে সন্তান হয়ে যায়। আরও পড়ুন: বুম্বার কাজে মুগ্ধ অমিতাভ, ‘আয় খুকু আয়’-এর ট্রেলার শেয়ার করে যে বার্তা দিলেন…
এরকমও হয়েছে একবার পল্লবী চা বানিয়েছেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সেই চা বিক্রি করেছেন। মাকে সংসার চালাতে সাহায্য করতেই ছোট অবস্থাতেই ভাই-বোন নেন সেই সিদ্ধান্ত। মল রোড, দমদমের ওখানে চা বিক্রি করেন তাঁরা। পল্লবীর কথায়, ‘ওই যে টাকাটা এসেছিল, তখন মনে হচ্ছিল যেন এটাই আমাদের জীবনের বড় পাওনা।’ পুরো টাকাটা মায়ের হাতে তুলে দেন খুদে প্রসেনজিৎ আর পল্লবী।
ট্যাক্সিও চালিয়েছেন পল্লবী একসময়। কলকাতায় এলেন তখন প্রথমবার। হাতে কাজ নেই। তখন মনে হয়েছিল তিনি তো ট্যাক্সি চালাতে পারেন! পল্লবীর কথায়, ‘সেই সময় কেন এখনও মনে হয় আমি আমার নিজের টার্মসে বেঁচেছি। লড়াই করেছি নিজের জন্য।’