মুক্তি পেতে চলেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ছবির 'ইন্ডাস্ট্রি' প্রসেনজিতের সঙ্গে কাকে দেখা যেতে চলেছে। এটি একটি কমেডি ফিল্ম হতে চলেছে যে সেটার আন্দাজ সকলেই করতে পারছেন কিন্তু হঠাৎ এমন একটা ছবি কেন করলেন বুম্বাদা, এবার সেই কথা নিজেই প্রকাশ্যে আনলেন।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে যখন জিজ্ঞেস করা হয় নিজেকে নিয়ে তিনি এভাবে মজা করতে পারলেন? তখন তাতে অভিনেতা উত্তর দেন, করোনার সময় সকলেই একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তখনই তাঁর বোন তাঁকে এই ছবির স্ক্রিপ্ট শোনার কথা বলেন। পল্লবী চ্যাটার্জির কথায় তিনি স্ক্রিপ্ট শুনতে রাজি হন। পরিচালক, সম্রাট প্রসেনজিৎকে গোটা স্ক্রিপ্ট শোনান। তিন চারদিন সময় নেন প্রসেনজিৎ এই ছবি করবেন কিনা সেই বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে।
কিন্তু এই ছবিতে আসলে কোন গল্প ধরা পড়বে? অভিনেতা জানান, 'প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা ছবিতে বিয়ের গল্প থাকলেও, ছবিটা আদতে ব্র্যান্ড প্রসেনজিতের কথা বলবে। আর এখানেই এই ছবির নামের সঙ্গে চালাকি করা হয়েছে। নামটা নিয়ে সবাই মজা করবে, মিম, জোকস হবে সেটা জানা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব দেখতে ভালো লাগে। এনজয় করি। আর আমি এসবে রিঅ্যাক্ট করি না।'
এই ছবির টিজারে যে তাঁকে ' ষাট বছরের মাল' বলে ডাকতে শোনা যায়, এমন সম্বোধনে বিরক্ত হন না তিনি? উত্তরে অভিনেতা বলেন, 'টিজারে তো এতটুকু আছে, ছবিতে আরও অনেক বেশি মজা রয়েছে।' তবে এই ছবির নাম যতই প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা হোক, আদতে তো তাঁদের এই ছবিতে সেভাবে পাওয়া যাবে না। তাহলে কবে তাঁদের আবার একসঙ্গে দেখা যাবে? এই বিষয়ে প্রসেনজিৎ তাঁর এবং ঋতুপর্ণার আগামী কাজের আভাস দেন। তিনি বলেন, ' সেটা আমাদের ৫০তম ছবি হবে। সেটার জন্যই এখন আমরা তৈরি হচ্ছি। সেই কথা ডিসেম্বরেই জানাব। প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা আমাদের ৪৯তম ছবি। ফলে এই ছবিটা আমরা বেশ মজা করেই করেছি। ।'