বর্তমানে বাংলার অন্যতম প্রতিক্ষীত সিনেমা হল দেবী চৌধুরানী। লার্জার দেন লাইফ স্কেলে বাংলা ছবির কাজ খুব একটা হয় না। তবে খাদান প্রমাণ করেছে যে, বড় মাত্রায় ছবি বানালে, দর্শকও হলে আসবেই। বড়দিনে বড় ঘোষণা করেইদিলেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। জানিয়ে দিলেন দেবী চৌধুরানী মুক্তির দিনক্ষণ। সঙ্গে এসে গেল প্রি টিজার।
ভিডিয়ো শেয়ার করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘জয় ভৈরবী...ভবানী পাঠকের প্রণাম সবাইকে। বিস্মৃত ইতিহাসের পাতা থেকে, বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ভারতের প্রথম মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী এক অনন্যা বিজয়িনীর কাহিনী, ‘দেবী চৌধুরানী’ আসছে আগামী ১ মে, ২০২৫, আপনাদের নিকটতম প্রেক্ষাগৃহে।’
দেবী চৌধুরানী পরিচালনা করেছেন শুভ্রজিৎ মিত্র। ভিডিয়োর শুরুতেই চোখে এল কালীমূর্তি, আর কালী সাধক ভবানী পাঠকের, যে চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মাথায় বড় বড় চুল। মুখ ভরা দাড়ি। কপালে রক্ত তিলক। মাথায় বাঁধা লাল কাপড়ের ফেট্টি। চোখের চাহুনি দৃঢ়। আগুনের সামনে যজ্ঞে বসেছেন। মুখে ‘জয় ভৈরবী’ ধ্বনি।
অন্যদিকে, শুভশ্রীর দু রকমর রূপ দেখানো হল টিজারে। প্রথমে তিনি গ্রামবাংলার এক সাধারণ গৃহবধূ, তিনি তখন প্রফুল্ল। তবে এরপরই গায়ে গেরুয়া বসন। অস্ত্রশিক্ষা নিচ্ছেন ভবানী পাঠকের কাছ থেকে। এরপরই সে হয়ে উঠবে বাংলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডাকাতসম্রাজ্ঞী ‘দেবী চৌধুরানী’।
মাত্র ৫৫ সেকেন্ড, তবে তা যেন উত্তেজনায় ভরা। তলোয়ার চালাতে দেখা গেল প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী দুজনকেই। ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইও টিজারে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। সঙ্গে কামান, তীর ধনুকের ব্যবহার। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে অভিনয়ে পাল্লা দিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর রুদ্ররূপ, চোখেমুখে থাকা জিঘাংসা নিঃসন্দেহে এই ছবির বড় ইউএসপি। বোঝা গেল, অভিনয়ের আগে যে অস্ত্রপ্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তার সঠিক ব্যবহারও করেছেন। কোথাও এক ফোঁটাও খামতি নজরে আসেনি দু তরফেই।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’কে নিয়ে সিনেমা বানানো নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ শুভ্রজিৎ মিত্রর কাছে। প্রথম ধাপে, অর্থাৎ টিজারে ভালোভাবেই উতরে গিয়েছেন। লার্জার দেন লাইফ স্কেল, যথার্থ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। সঙ্গীত পরিচালক বিক্রম ঘোষের কথা না উল্লেখ করলেও নয়।
‘দেবী চৌধুরানী’-তে প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী ছাড়াও দেখা মিলবে দর্শনা বণিক, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দদের। আপাতত ছবি মুক্তির অধীর অপেক্ষায় বাংলার মানুষ।