মুক্তির প্রথম ৭ দিন বক্স অফিসে ৫০ কোটির টিকিট বিক্রি হয়নি আমির খানের 'লাল সিং চড্ডা'। এই ছবির গায়ে ইতিমধ্যেই 'ফ্লপ' তকমা জুড়ে গিয়েছে। 'লাল সিং চড্ডা'র পাশাপাশি একই দিনে মুক্তি পাওয়া অপর সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের ছবি রক্ষা বন্ধন-এরও একই হাল। একদিকে যখন একের পর এক দক্ষিণ ভারতীয় ছবি দেশজুড়ে রাজত্ব করছে, তখনই পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। হারাচ্ছে নিজের জৌলুস, বয়কট ট্রেন্ডে এখন অনেকটাই কোণঠাসা বলিউড স্টারেরা। কেন এই পরিস্থিত? কেন পালটে গেল সব হিসাব? এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন আমিরের 'থ্রি-ইডিয়েট' কো-স্টার।
'অল ইজ নট ওয়েল', এতদিনে তো বলিউড তারকারা এই কঠিন সত্যিটা উপলব্ধি করেই ফেলেছেন। চলতি বছর 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ', 'শামশেরা'র মতো বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের হিন্দি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে RRR , কেজিএফ ২, পুষ্পার মতো দক্ষিণী ছবি হাজার কোটির ব্যবসা করছে। বলিউডকে ছাপিয়ে গিয়েছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি, এটা এখন প্রমাণিত সত্য।
বুধবার মুম্বইতে নিজের আসন্ন ছবি 'ধোখা - রাউন্ড ডি কর্নার' (Dhokha - Round D Corner)-এর টিজার লঞ্চে, অভিনেতা আর মাধবনকে লাল সিং চাড্ডা-সহ অপর বিগ বাজেট হিন্দি ছবির ভরাডুবি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ জবাবে তারকা জানান, 'যদি আমরা জানতাম (কেন লাল সিং চাড্ডা কাজ করেনি), আমরা সবাই হিট ছবি বানাতাম। কেউ শুরুতেই ভাবে না যে আমরা একটি ভুল ফিল্ম বানাচ্ছি। ছবি তৈরির পিছনে অভিপ্রায় এবং একজন অভিনেতার কঠোর পরিশ্রম থাকে, তাতে ছবি চলুক আর নাই চলুক। সুতরাং, যে সমস্ত বড় ছবি মুক্তি পেয়েছে ... উদ্দেশ্য ছিল একটি ভাল ছবি তৈরি করা এবং সেটিকে সফল করে তোলা'।
তিনি আরও যোগ করেন যে দক্ষিণের চলচ্চিত্রগুলি হিন্দি চলচ্চিত্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে এমন ধারণাটি ভুল কারণ দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিক হাতেগোনা কয়েকটি চলচ্চিত্রই তা করে দেখিয়েছে।
মাধবনের কথায়, তিনি বিশ্বাস করেন যদি দর্শকদের ভাল কনটেন্ট দেওয়া হয় তবে তারা ভাষা নির্বিশেষে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখবে। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের ব্যর্থতার জন্য করোনা অতিমারী পরবর্তী যুগে দর্শকদের রুচি ও পছন্দের পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
অভিনেতা বলেন, 'করোনার পর মানুষের পছন্দ এবং অপছন্দগুলি পরিবর্তিত হয়েছে...সুতরাং আমরা যদি আজকে যে ধরনের ফিল্ম আসছে তার বদলে মানুষ যে ধরনের ফিল্ম দেখতে আগ্রহী সেই ধরনের ফিল্ম তৈরি করি তাহলেই ফের হলমুখী হবে দর্শক। আমাদের আরও একটু প্রগতিশীল হতে হবে'।