বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > মাধবনে মজল কলকাতা, মুক্তির পথে বিতর্কিত বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়ণনের বায়োপিক

মাধবনে মজল কলকাতা, মুক্তির পথে বিতর্কিত বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়ণনের বায়োপিক

কলকাতায় মাধবন

ভারতে এর আগে বায়োপিকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছেন খেলোয়াড় বা রাজনীতিবিদ নিয়ে বানানোর প্রবণতা বেশি, কিন্তু বৈজ্ঞানিক নিয়ে বায়োপিক এই প্রথমবার।

রণবীর ভট্টাচার্য

‘রহেনা হে তেরে দিল ম্যায়’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’, ‘রং দে বসন্তী’র মতো সিনেমায় মাধবনকে দেখে ভালো লাগেনি এরকম লোকের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা। সেই আর মাধবন ঝটিতি সফরে কলকাতায় ঘুরে গেলেন তার নতুন সিনেমা ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বিয়ার এফেক্ট’-এর প্রচারে। বৈজ্ঞানিক নিয়ে সিনেমা, যাকে নিয়ে বিতর্কের অবসান হল এই সেদিন, সেই নাম্বি নারায়ণনকে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় অন্যতম স্তম্ভ বলা চলে। তিনি কি নায়ক না খলনায়ক? এই আলোচনায় আবদ্ধ না থেকে মাধবন, যিনি একাধারে পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং সহ-প্রযোজক বটে, এই সিনেমায় বৈজ্ঞানিক নাম্বির জীবনকে তুলে ধরেছেন।

ভারতে এই প্রথম কোন সিনেমার একাধারে ইংরেজি, হিন্দি ও তামিলে শুটিং হল দেশ বিদেশের বিভিন্ন লোকেশনে। মাধবনের কথায়, ‘ছয় বছর লেগেছে আমাদের এই স্বপ্নপূরণ করতে। মাঝের দুই বছর কোভিডের জন্য আমরা কাজ করতে পারিনি। এই প্রথম কোন ভারতীয় সিনেমায় রকেট ইঞ্জিন দেখানো হবে। হিন্দি ও ইরেজি ভার্সনে একটি গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে রয়েছেন শাহরুখ খান আর তামিল সেই চরিত্র করছেন দক্ষিণের আরেক সুপারস্টার সুরিয়া।’

ভারতে এর আগে বায়োপিকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছেন খেলোয়াড় বা রাজনীতিবিদ নিয়ে বানানোর প্রবণতা বেশি, কিন্তু বৈজ্ঞানিক নিয়ে বায়োপিক এই প্রথমবার। এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণনের চরিত্রে অভিনয় করা মাধবন কোন প্রস্থেথিক ব্যবহার করেননি। ২৯ থেকে ৭৯ বছর, এই দীর্ঘ সময় বড়পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে যে কসরত করতে হয়েছে ওঁকে, এই নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু কেন এই বিষয় নিয়ে সিনেমা?

কথা বললেন আগামী ছবি নিয়ে।
কথা বললেন আগামী ছবি নিয়ে।

মাধবন কোনও রাখঢাক না করেই বললেন, ‘নাম্বি নারায়ণন ভারতের একজন অন্যতম সেরা বৈজ্ঞানিক। ইসরোর ইতিহাসে ওনার অবদান ভোলার নয়। কিন্তু এই মানুষটিকেই যখন অপবাদ দেওয়া হল, চর বলা হল, তখন সবচেয়ে বড় অবিচার করা হল। কিন্তু বাস্তবের মুখে দাঁড়িয়ে নিঃসন্দেহে এই মানুষটি, যিনি পরবর্তীকালে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাকে জানা দরকার। মহাকাশের পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে আমাদের। তাই এই মানুষটির জীবন গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন সরাসরি এই মানুষটির সাথে কথা বলেছি, তখন বিশ্বাস করেছি এই সিনেমাটি খুব জরুরি। ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজের ক্ষেত্রে আমি অভিনেতা ও পরিচালক, এই দুই ভূমিকা অবশ্যই উপভোগ করেছি।’

কয়েকদিন আগে হিন্দু পঞ্জিকা সম্পর্কিত বিতর্ক নিয়ে মাধবন সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বলেন যে গুগল ট্রান্সলেট এর জন্য এই বিতর্ক, এর অন্য কোন মানে সত্যি নেই। রকেট্রি : দ্য নাম্বিয়ার এফেক্ট সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ১ জুলাই। মোট ছয়টি ভাষায় দেখানো হবে। কান ফিল্ম ফেস্টিভালে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে এই সিনেমা। এবার দেশের মানুষ এক ভুলতে যাওয়া বৈজ্ঞানিককে কতটা তারিফ করবে, সেটা ভবিষৎ বলবে। তবে নিঃসন্দেহে আর মাধবনের এই প্রয়াস কুর্নিশ জানানোর মত।

বন্ধ করুন