অভিনেতা-পরিচালক আর মাধবন যিনি পরের ছবি ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন, অবশেষে মুখ খুললেন ইসরো বিতর্কে। সম্প্রতি ছবির প্রচারে গিয়ে মাধবনকে বলতে শোনা যায় হিন্দু মঙ্গলগ্রহে আকাশযান পাঠাতে হিন্দু ক্যালেন্ডার পাঞ্চাং-এর সাহায্য নিয়েছে।
এরপরই মাধবনকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়ে যায় চারিদিকে। অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। শুধু তাই নয়, একটি টুইট করলেন আত্মপক্ষ সমর্থনে। মাধবন টুইটারে লিখলেন, ‘পঞ্জিকাকে তামিলে পাঞ্চাং বলার জন্য আমার ক্ষমা চাওয়াই উচিত। খুব বড় অজ্ঞ আমি। তবে এই বিষয়টা ভুললে চলবে না মঙ্গল অভিযান মাত্র ২টো ইঞ্জিন নিয়ে আমরা শেষ করেছি। এটা একটা রেকর্ড। বিজ্ঞানী নামবি নারায়ননের বিকাশ ইঞ্জিন রকস্টার।’ আরও পড়ুন: হিন্দু ক্যালেন্ডার দেখে মঙ্গলযান পাঠিয়েছে ভারতের বিজ্ঞানীরা, মাধবনের কথায় বিতর্ক
এর আগে ঠিক কী বলেছিলেন মাধবন?
মাধবনের তামিলে বলা কথাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিয়ে একজন টুইট করেছfnsন, ‘ওঁর কথার মূল বক্তব্য হল ইন্ডিয়ান রকেটে তিনটে ইঞ্জিন (সলিড, লিকুইড, ক্রাইওজেনিক) থাকে না, যা বিদেশের রকেটকে সাহায্য করেছএ মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে। আর সেই অভাব পূরণ করতেই ভারতীয়রা ‘পঞ্চঙ্গম’ (হিন্দু ক্যালেন্ডার)-এর তথ্য ব্যবহার করেছিল।’
প্রসঙ্গত, ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নামবি নারায়ননের উপর এই বায়োগ্রাফি বানিয়েছেন মাধবন। কান চলচিত্র উৎসবেরও অন্যতম চর্চিত সিনেমা ছিল এটি। ছবিতে নামবির চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধবন। তিনি এই সিনেমার পরিচালকও। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা মিলবে শাহরুখ খানেরও। হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ভাষায় ১ জুলাই ২০২২-এ মুক্তি পাবে এই সিনেমা।