রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনীতিতে পা রেখেছেন। গত ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভায় যখন তাঁদের এবারের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য সেখানে সকলকে চমকে দিয়ে উল্লেখ করা হয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এরপর থেকেই তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সেখানে গিয়েই নিজের স্ট্রাগলের কথা মনে করলেন।
প্রচারে রচনা
কিছুদিন আগেই সিঙ্গুরের একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি প্রচারে গিয়ে নানা সময় নানা কথা বলেছেন যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। এদিনও ঠিক তেমনটাই হল। সেখানে অভিনেত্রীকে তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করতে দেখা গেল?
আরও পড়ুন: 'ভেবেছিলাম সমস্যা হবে...', ১৪ বছরের ছোট সপ্তর্ষিকে বিয়ে করার অনুমতি সোহিনীকে কে প্রথম দেন?
নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কটাক্ষ করে কী বললেন রচনা?
দিদি নম্বর ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি টিভি ৯ বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় এই রোদ, তাপে পুড়ে প্রচার করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা। উত্তরে রচনা বলেন, 'দাদা, দাদা ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রোদে পুড়ে গাছের ডালে ঝুলে কাজ করেছি। আজ প্রচারে বেরিয়ে আর কষ্ট হচ্ছে না তাই। জীবনের ভিতটাই তো রোদে কাজ করে কেটেছে।'
এরপর দিদি নম্বর ওয়ানকে বলতে শোনা যায়, 'আজকালকার শিল্পীরা এসি ভ্যানে বসেন। সেখান থেকে নেমে শট দিয়ে আবার উঠে যায়। ১৫ জন মাথায় ছাতা ধরেন। আর আমরা গাছের তলায় শাড়ি বদলেছি, গাছের নিচে বসে খেয়েছি। আমি তাই মাঠের রোদকে ভয় পাই না।'
আরও পড়ুন: 'ও হ্যাঁ বলল...' বিয়ে নয়, কেবল বাগদানই সেরেছেন অদিতি - সিদ্ধার্থ? এনগেজমেন্ট রিং দেখিয়ে কী লিখলেন?
দিদি নম্বর ওয়ানে হুগলির দিদিদের আগে ডাকবেন রচনা
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে হুগলি কেন্দ্র থেকে লোকসভায় লড়বেন। তিনি তাই বলেছেন তিনি যদি এই কেন্দ্র থেকে জেতেন তাহলে তিনি জি বাংলার কর্তৃপক্ষকে বলবেন দিদি নম্বর ওয়ানে যেন এই কেন্দ্রের দিদিদের আগে ডাকা হয়। শত হলেও তিনি এখানকার মানুষদের ভোটেই জিতবেন। তিনি এই কথা বলায় বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়েছেন।