১৪ অগস্ট মহিলাদের প্রথম রাত পাহারার দিন আরজি করে চলেছিল দুষ্কৃতী তাণ্ডব। আর সেই তাণ্ডবে রাম-বাম যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রীর সেই মন্তব্য ঘিরেও নেটপাড়ায় কিছু কম সমালোচনা হয়নি। আর এবার খানিকটা যেন মুখ্যমন্ত্রীর স্টাইলেই মন্তব্য করে বসলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ, 'দিদি নম্বর ওয়ান' রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করের তাণ্ডবে রাম-বাম যোগ দেখেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলিং নিয়েও সেই একই ভাবে রাম-বাম ঢুকে পড়েছে বলে মনে করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর এরপর আরজিকর কাণ্ডে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে যে তীব্র ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে তা নিয়ে মুখ খোলেন রচনা। তাঁর কথায়, ৫০০ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ৩০ জন রাম-বাম ঢুকে পড়েছে। আর তারাই প্রতিবাদ ছেড়ে নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য ট্রোলিং শুরু করে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন রচনা। সেথানে সকলের একটাই দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি বা সাজা হোক, সেখানে কিছু রাম-বাম মুখ্যমন্ত্রী যে এত কাজ করেছেন, তা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। আসল দাবি থেকে সরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করছেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা জানান, ‘বিরোধিরা সকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে পারেন। তবে আমরা সুবিচার চাইব। মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম বলেছিলেন, দোষীকে খুঁজে বের করে ফাঁসি দেওয়া হোক। উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার মেয়েদের পাশে উনি আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন।’
এদিকে আবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য যখন তোলপাড়, তখন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দিনে ৯০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এটা ভয়ঙ্কর। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা।