সেমি ফাইনাল শুরু হয়ে গেল কাতারে। ফুটবল জ্বরে এখন আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। আর কদিন পরই যে শেষ যুদ্ধ হবে। তার আগে হুহু করে বাড়ছে উত্তাপ। তবে এবারের বিশ্বকাপ যেন অন্যান্য বারের তুলনায় একটু আলাদা। প্রথম থেকেই অঘটন ঘটে চলেছে! স্পেন থেকে পর্তুগাল, ব্রাজিলের মতো দেশ সব ছিটকে গিয়েছে খেলা থেকে। অন্যদিকে মরক্কোর মতো দেশ পৌঁছে গিয়েছে সেমি ফাইনালে। চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কাপ কে জেতে এখন সেটাই দেখার।
আর এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যাঁরা সামনে বসে দেখতে চান, সেই সামর্থ আছে তাঁরা সকলেই পৌঁছে গিয়েছেন কাতারে। টলি-বলির অনেক তারকারাই বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচগুলো দেখার জন্য কাতারে পৌঁছে গিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন রচনা বন্দোপাধ্যায়।
দিদি নম্বর ওয়ানের সঞ্চালিকা বিশ্বকাপে কাকে সমর্থন করছেন? মাঠে বসে কার জন্যই বা তিনি গলা ফাটাবেন? কী জানালেন তিনি? একটি লাল পোশাক পরে তাঁকে কাতারে দেখা যায়। খেলা দেখার আগে তিনি একটু খোশমেজাজেই ছিলেন। পারস্য উপসাগরের তীরে ক্রুজে ঘুরে বেড়ালেন। নতুন দেশে এসে তাঁর কেমন লাগছে? সেই বিষয়ে আনন্দবাজারকে তিনি জানান, 'দুর্ধর্ষ! দুর্দান্ত লাগছে। এখানে খুব সুন্দর আবহাওয়া। যেমন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আছে তেমন ঝলমলে রোদও উঠছে।' অভিনেত্রীর কথায় সকালে ভীষণ রোদ, আর বিকেলে পাঁচটার পরই খুব ঠাণ্ডা পড়ে হচ্ছে সেদেশে।
এই প্রথমবার অভিনেত্রী বিশ্বকাপের কোনও খেলা দেখতে এসেছেন। সেমি ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হল। এটা মেসির শেষ বিশ্বকাপ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরও শেষ বিশ্বকাপ। তাই অভিনেত্রী এবং তাঁর ছেলে চেয়েছিলেন এই দুই মহারথীর মুখোমুখি লড়াই দেখতে। কিন্তু পর্তুগাল ছিটকে যাওয়ায় খানিক আক্ষেপ রয়েছে অভিনেত্রীর। তবে অভিনেত্রী জানান, 'এখন মেসির জন্য খেলা দেখব। তাঁর জন্যই গলা ফাটাবো। আর প্রথম বিশ্বকাপ বলে ভীষণ উত্তেজিত। কিন্তু আমার থেকেও বেশি উত্তেজিত আমার ছেলে। ওর জন্যই এই দেশে আসা খেলা দেখতে।'
তবে রোনাল্ডো এবং মেসির মুখোমুখি লড়াই না দেখা গেলেও তাঁরা যে কাতারে পৌঁছেছেন অভিনেত্রীর কাছে সেটাই বড় কথা। তাঁর কথায়, 'এখানে বসে বিশ্বকাপ দেখব এটাই তো বড় কথা। এই অনুভূতিটাই তো বড়। আজীবনের একটা অভিজ্ঞতা।'
এছাড়া কাতারে নাকি অভিনেত্রীর অনেক পরিচিত থাকেন। আর সেই কারণেই তিনি এবার মাঠে বসে খেলার দেখার সুযোগ ছাড়েননি, যদি পরেরবার যেখানে বিশ্বকাপ হবে সেখানে কোনও পরিচিত না থাকে, তখন? আপাতত তাঁরা ফুটবল নিয়ে মাতোয়ারা।