গত কয়েকটা মাসে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে। হঠাৎই বাবাকে হারান অভিনেত্রী। স্বামীর সাথে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে বাবার সাথেই থাকতেন রচনা। সঙ্গে জীবনের সমস্ত বড় বড় সিদ্ধান্তেও পাশে পেয়েছেন বাবাকে। এমনকী, রচনা জানিয়েছিলেন নতুন শুরু করা শাড়ির বুটিকেও বাবার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। আর তাই বাবাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। এমনকী, বাবার সমস্ত পরলৌকিক কাজ শেষ হওয়া অবধি শ্যুট, ব্যবসাও বন্ধ রেখেছিলেন।
তবে, মাসখানেকের মধ্যে আরও এক কাছের মানুষকে হারালেন রচনা। ওড়িয়া সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা মিহির দাস কটকের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বাংলা-হিন্দির পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন রচনা। আর সেসবের মধ্যে ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম।
প্রসঙ্গত, কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মিহির। মাসখানেক আগে হার্ট অ্যাটাকও হয় তাঁর। আর এসব কারণেই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তারপর মারা যান মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারি।
এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রচনা জানিয়েছেন, ‘অনেকদিনের সম্পর্ক আমার সঙ্গে। ভীষণ কাছের মানুষ ছিলেন। আমাকে শুধু যে স্নেহ করতেন তা নয়, বরং অভিনয়ও শিখেছি ওঁর থেকে। বহু সিনেমা করেছি আমরা একসঙ্গে। আমার কাছে খুবই দুঃখের খবর এটা, কিন্তু জীবনের নিয়মই তাই।’
'গঙ্গা যমুনা', 'এক চিলতে সিঁদুর'-এর মতো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন রচনা আর মিহির। ওডিশা সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরষ্কার পান মিহির ‘লক্ষ্মী প্রতিমা’ সিনেমার জন্য। তিনি শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার পান ‘মু তাতে লাভ করুছি’ সিনেমার জন্য ২০০৭ সালে।