লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এখন বেজায় ব্যস্ত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথমবার তিনি রাজনীতির ময়দানে। তাই এতটুকু ফাঁক ফোঁকর রাখছেন না প্রচারে। এদিন তিনি অভিনব কায়দায় লোকাল ট্রেনে উঠে প্রচার করলেন। আর তখনই জানালেন তাঁর ট্রেনে চড়তে ভালো লাগে।
আরও পড়ুন: 'জোকসেও সংরক্ষণ!', দলিত কমেডিয়ানদের প্রতিবাদের ভাষাই কমেডি, কী বললেন মনজিৎ - অঙ্কুররা?
লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ রচনার
এদিন অর্থাৎ শনিবার, ১১ মে লোকাল ট্রেনে উঠে প্রচার করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে ওঠেন তিনি এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরাও। তবে বিনা টিকিটে নয়। রীতিমত টিকিট কেটে তাঁরা ট্রেনে উঠেছিলেন। আর লোকাল ট্রেনে উঠেই এদিন তৃণমূল প্রার্থী বলেন 'কতদিন পর ট্রেনে উঠলাম। আমার ট্রেনে চড়তে ভালো লাগে। বিশেষ করে দূরপাল্লার ট্রেনে। সেখানে শুয়ে যেতে ভালো লাগে।'
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির প্রতিটা স্টেশনেই ট্রেন থেকে নামেন। জনসংযোগ করেন নিত্য যাত্রীদের সঙ্গে। হুগলি, চুঁচুড়া, চন্দননগর সহ সব স্টেশনেই এদিন নামতে দেখা যায় রচনাকে। কেবল স্টেশনের যাত্রীদের সঙ্গে নয়। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের সঙ্গেও তিনি জনসংযোগ করেন এদিন।
কিন্তু এদিন কেন তিনি ট্রেনে করে প্রচার করলেন? এই বিষয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি যে রোড শো করছেন বা অন্যান্য উপায়ে প্রচার করছেন তাতে অনেকেই থাকতে পারেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তাই যাঁরা কলকাতায় কাজের জন্য আসেন বা নিত্য যাত্রী তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ করতেই লোকাল ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন দিদি নম্বর ওয়ান। এদিন চন্দননগর স্টেশনে নেমে চা খান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: 'পেমেন্ট পাননি নাকি?' অনুমতি ছাড়াই শপথ ২ - র ক্লিপ ফাঁস টোটার! প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন পরিচালক রাজা চন্দ
বাদ দেন না তাঁর অনুরাগীদের আবদার মিটিয়ে সেলফি তুলতে। এমনকি ভেন্ডার সহ অন্যান্য কামরায় কী সেখানকার মানুষদের বক্তব্য, সুবিধা, অসুবিধার কথাও শোনেন তিনি।