২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনেই সূচনা হয়েছে চুঁচুড়া উৎসবের। বিধায়ক অসিত মজুমদারের হাত ধরে এই উৎসব শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের দিন সেখানে বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেখানে ছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে শুধু উপস্থিতিই নয়। এবার চুঁচুড়া উৎসবে শাড়ি ও বিউটি প্রোডাক্টের স্টলও দিয়েছেন রচনা।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। তবে শুধু স্টল দেওয়াই নয়। সেখান থেকে শাড়ি কিনলে থাকছে ১০ শতাংশ ছাড়। আর বেশি কেনাকাটায় মিলবে আকর্ষণীয় ছাড়। মিলবে ফ্রি শাড়িও। আর একথা নিজেই জানিয়েছেন সাংসদ, অভিনেত্রী, ‘দিদি নম্বর ১’ সঞ্চালিকা রচনা। তাঁর কথায়, ‘সকলেই ডিসকাউন্টে কিনতে ভালোবাসেন। আমরা সবসময়ই অফার চাই। সেটা শুনতে ভালোও লাগে। সেকথা ভবেই এই ছাড় রাখা হয়েছে।’ অভিনেত্রী অবশ্য রাজনীতিতে আসার বহু আগে থেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। নিজের বুটিকের নাম রেখেছেন ‘রচনা ক্রিয়েশন’। আর বিউটি প্রোডাক্টের নাম 'রচনা কেয়ার'।
সাংসদ-অভিনেত্রী জানান, বিধায়ক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে চুঁচুড়া উৎসবে একটা স্টল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাই তিনি দিয়েছেন। চুঁচুড়া বক্সি গ্রাউন্ডে আয়োজিত এই উৎসব চলবে ১২ দিন। তাই বিক্রি-বাট্টাও মন্দ হবে না বলে মনে করছেন রচনা।
আরও পড়ুন-বধূবরণের পর শাশুড়ির কোলে বসলেন, খাইয়েও দিলেন শ্বেতা! কাণ্ড দেখে কী করলেন রুবেল?


এদিকে আবার চুঁচুড়া উৎসবের উদ্বোধনের দিন সেখানে হাজির হয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রচনা যে শাড়িটা পরে এসেছিল, ওটা খুব সুন্দর। ও বলল, ওটা ওর নিজের কাজ। আর মেয়েরা শাড়ি দেখবে না, এটা তো হতে পারে না।’ কল্যাণের কথায়, রচনা সরল বলেই নাকি তাঁকে মাঝে মধ্যে ট্রোল হতে হয়।
এদিকে বরাবরই মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিতে, স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলে থাকেন রচনা। তাঁর সঞ্চালনায় হওয়া শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এও শোনা যায় বহু নারীর লড়াইয়ের কাহিনী। চুঁচুড়া উৎসবে এসে সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, 'আমি সবসময়ই বলি, মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াক, রোজগার করুক, শিক্ষিত হোক, সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, কারও কাছে হাত পাতবেন না। একটা মেয়ে মানে ১০টা ছেলের সমান। আমরা দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে এই বার্তাই দিয়ে থাকি। কল্যাণ দাও তাই দিলেন। এই বার্তা যেন সকলের কাছে পৌঁছোয় ও মানুষ অনুপ্রাণিত হন।'