চলতি বছর জীবনটা বদলে দিয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়র। কারণ নির্বাচিত হয়েছেন হুগলির সাংসদ হিসেবে। আর ভোটে জিতে, এলাকার দায়িত্ব পাওয়ার পর, বড়দিনের ঠিক আগের রাতেই, মঙ্গলবার প্রথম পা রাখলেন ব্যান্ডেল চার্চে। শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত হয়ে ফাদারের সঙ্গে দেখা করেন, আর উপস্থিত কচিকাচাদের কেকও খাওয়ান।
ক্রিসমাস মানেই ব্যান্ডেল চার্চে বেশ একটা ধুমধাম ব্যাপার। রীতিমতো মেলা বসে গিয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে রচনাকে বলতে শোনা যায়, ‘ব্যান্ডেল চার্চে না আসলে, ক্রিসমাস অসম্পূর্ণ। খুব সুন্দর ব্যবস্থা হয়েছে। ফাদারের সঙ্গে দেখা হল। ওঁকে শুভেচ্ছা জানালাম। বাচ্চারা আমার সামনেই ক্যারল গাইল। ওদের কেক দেওয়া হল।’
আরও পড়ুন: ছাদে সুইমিং পুল, নিজস্ব থিয়েটার, আরবানার সুবিশাল পেন্ট হাউজে থাকেন দেব, কত দাম?
সঙ্গে রচনা জানান, হুগলি থেকে ভোটে জেতার পরই, তাঁর ব্যান্ডেল চার্চে আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় হয়ে ওঠেনি। তবে ভেবে রেখেছিলেন বড়দিনের আগেই আসবেন। এদিন যিশুর সামনে সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন বলেও জানালেন।
সঙ্গে ফাঁস করলেন নিজের বিশেষ গুণ। যখন উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি কেক বানাতে পারেন কি না, তাতে রচনা জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমি বাড়িতে খুব ভালো কেক, কুকিজ, চকোলেট বানাই বাড়িতে। প্রতিবারই বড়দিনে কেক বানাই। তবে এবার হয়নি। বিগত দু দিন ধরে ছিলাম হুগলিতে। তবে বাড়ি গিয়ে হয়তো বানাব’।
হুগলিতে মেট্রো নিয়ে প্রস্তাব রচনার:
এদিকে এলাকার জন্য মেট্রোর দাবি জানিয়ে বসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই হাওড়াতে পৌঁছে গিয়েছে মেট্রো রেল। কেন্দ্র ‘দয়া’ দেখালে হুগলিতেও মেট্রো চলবে, আশাবাদী টিভির দিদি নম্বর ১।
কদিন আগেই রচনকে বলতে শোনা যায়, ‘মেট্রো যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি তাতে মানুষের অনেক উপকার হবে। এই নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে। তবে এটা কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এই নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। জেলাশাসকও বলেছেন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মানুষ বিরাট উপকার হবে।’
আরও পড়ুন: ঝুকেগা নেহি ‘পুষ্পা ২’! মঙ্গলবারেও তরতরিয়ে ব্যবসা, ২০তম দিনে আল্লুর ছবির আয় কত
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভোটে দাঁড়াতে পারেন, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেনি অনেকেই। তবে মমতা ও রচনার নবান্নে দেখা করা, দিদি নম্বর ১ শো-তে মমতার অতিথি হয়ে আসা, জল্পনা উসকে দিয়েছিল। ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকে ক্রমাগত ট্রোল, মিমিের আঘাত সইতে হয়েছে টলিউড অভিনেত্রীকে।
ব্যক্তিগত জীবনে, বহুদিন স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন রচনা। যদিও ডিভোর্স নেননি তিনি ও প্রবাল বসু। একসময় তো বউ হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্কসও দিয়েছিলেন। আক্ষেপ করেছিলেন, হয়তো ,সংসারী নন, তাই টিকিয়ে রাখতে পারেননি বিয়েটা। তবে এরপর দেখা যায়, রাজনীতিতে রচনা আসতেই, সর্বদা পাশে থেকে আগলে রাখছেন প্রবাল। শোনা যায়, সম্পর্কের বরফও নাকি অনেকটাই গলেছে।