Didi No 1: ‘এত লম্বা, যাতে ছেলের মাথা কখনও হেঁট না হয়!’ পাত্রপাত্রীর খোঁজে রচনার দরবারে বিবাহযোগ্যরা, বুঝুন কাণ্ড…

প্রোমোতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সামনেই বিয়ে নো টেনশন, আছে তো আপনার পাশে দিদি নম্বর ওয়ান।’ আর এরপরই হাত জোর করে দেখা দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের ভয়েস ওভারে বলা হয়, ‘পাত্রপাত্রীর খোঁজে হয়রান! দিদির কাছে আছে তার সুলুক সন্ধান।’

শোয়ের নাম ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। নিত্যদিনই চর্চায় থাকে জনপ্রিয় এই গেম শো। বিশেষ করে মহিলা মহলে এই শোয়ের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিদিরা আসেন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্পের আসর জমাতে। কথাবার্তা, আলাপের মাঝেই চলে নানান খেলা। আর এবার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে হয়ে গেল 'পাত্র-পাত্রী Special' পর্ব!

হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে পোস্ট করা নতুন প্রোমোতে উঠে এসেছে সেই বিষয়টিই। কী আছে সেখানে?

প্রমোর শুরুতেই ব্য়াকগ্রাউন্ড ভয়েসওভারে বলা হচ্ছে, ‘সামনেই বিয়ে নো টেনশন, আছে তো আপনার পাশে দিদি নম্বর ওয়ান।’ আর এরপরই হাত জোর করে দেখা দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের ভয়েস ওভারে বলা হয়, ‘পাত্রপাত্রীর খোঁজে হয়রান! দিদির কাছে আছে তার সুলুক সন্ধান।’

এরপরই দেখা মেলে পাপিয়া দত্ত মুস্তাফী নামে এক প্রতিযোগীর, যিনি কিনা তাঁর ছেলে গৌরব দত্ত মুস্তাফীকে নিয়ে হাজির হয়েছেন। পাপিয়া বলেন, ‘চাকরিটা মাস্ট আজকালকার দিনে…।’ এরপর আরও একজন বলেন, ‘যে আসবে, সে আমার আগে বন্ধু হোক…’। আরও একজন সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘শপিং তো করাতেই হবে।’ আরও একজন ছেলের মা বললেন, ‘একটু লম্বা হতে হবে।’ আর একথা শুনে রচনা মজা করে বলেন, ‘ছেলেকে ক্রস করে যেতে হবে! ছেলের মাথা যেন সবসময় উঁচু হয়ে থাকে!’

তবে এই প্রোমো দেখে নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন বিবাহযোগ্য পাত্রপাত্রী আর তাঁদের মায়েরাই হাজির হয়েছিলেন রচনার শোয়ের এই পর্বে। সোশ্যাল মিডিয়া উঠে আসা এই প্রমো নিয়ে নানান মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। যেখানে কেউ কেউ আবার ট্রোল করতেও ছাড়েননি।

প্রসঙ্গত, এর আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য লাস্ট মিনিট সাজেশন দিয়ে চর্চায় উঠে এসেছিল রচনার দিদি নম্বর ওয়ান। যদিও সেই পর্ব নিয়েও কিছু কম ট্রোল হয়নি। আর এবার এই শোয়ের হাত ধরে পাত্রপাত্রী খুঁজবেন বিবাহযোগ্যরা।