আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে আছেন। যদিও তাঁর এই মিষ্টি কথায় ভুলতে নারাজ নেটপাড়া।
আরও পড়ুন: 'শাসক ভয় পায় কেন?', 'রাত দখল'- এর রাতেই আরজি করে প্রবল ভাঙচুর, প্রতিবাদে সরব ঋত্বিক-অঙ্কুশ
কী বলছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটো ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। একটা জায়গায় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ' আমি একজনের মা, আমি একজনের মেয়ে। আজকে ১৫ অগস্ট। দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছে, আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? সারা ভারতবর্ষের মহিলারা কি আজ স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছে? দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, মণিপুর, একটার পর একটা ঘটনা। আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব এটা সবার আগে প্রশ্ন।' তিনি আরও বলেন ' কলকাতার আরজি করের এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাষা প্রকাশ করা যায় না যা ঘটেছে। আমরা আওয়াজ তুলেছি, আমরা প্রতিবাদের সুর তুলেছি, আমরা রাস্তায় নেমেছি, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরম মহিলাদের আওয়াজ মনে হয় না ভারতের আর কোথাও আগে উঠেছে। আমি সব মহিলাদের স্যালুট জানাচ্ছি।'
দিদি নম্বর ওয়ানে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় এদিন। সেখানে রীতিমত হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সেখানে বলেন, 'আমি বাড়িতে ঠিক করে পৌঁছতে পারব তো এটা ভাবি। কিন্তু এটা কেন হবে? মাথা উঁচু করে বাঁচব, মাথা উঁচু করে চলব।'
তাঁর এই কান্না দেখে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছেন নাগরিকরা। তাঁদের মতে সবটাই ভন্ডামি। ওভার অ্যাকটিং করে ফেলেছেন রচনা। আর সেই জন্যই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, 'যাত্রাপালা একেবারে।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'উফফ, ১০ লাখ রেট দিয়েছে তোমার মা মমতা! এত কিসের তোমার চিন্তা? টিকিট পেতে কাদের খুশি করেছো? ভেবে দেখো দিদি নম্বর ওয়ান।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এত মেকআপ করে লাইভে এসে কাঁদতে আগে কোনদিন দেখিনি।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'পঞ্চাশ টাকা কেটে নেওয়া হবে ওভার অ্যাকটিংয়ের জন্য।' চতুর্থজন লেখেন, 'আবার নাটক করছিস তুই! ন্যাকা নম্বর ১।'