কিছুদিন আগেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাকুম্ভে যেতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় গেরুয়া বসন পরে তিনি সরস্বতী পুজোর দিন ডুব দেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। এরপর এদিন তিনি এলেন হুগলির ত্রিবেণীতে। স্নানের বদলে মাথায় জল ছিটালেন।
আরও পড়ুন: খালি স্ত্রী ৩ নয়, হরর কমেডি ইউনিভার্সের ৮টি ছবিতেই নায়িকা শ্রদ্ধা? খবর শুনে কী বলছে নেটপাড়া?
হুগলির ত্রিবেণীতে রচনা
খালি প্রয়াগরাজ নয়, বাংলাতেও আছে ত্রিবেণী এটিকে দক্ষিণের ত্রিবেণীও বলা হয়ে থাকে। উত্তর প্রদেশের ত্রিবেণী যদি যুক্তবেণী হয়, তবে হুগলির ত্রিবেণী হল মুক্তবেণী। আর এদিন মহাকুম্ভে ঘুরে আসার পর বাংলার ত্রিবেণীতে দেখা মিলল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা। সেই উপলক্ষে এদিন এখানে অনেক পুণ্যার্থীরাই ভিড় জমিয়েছেন। বাদ গেলেন না রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি এদিন কিন্তু স্নান করেননি। বরং গঙ্গা জল মাথায় ছিটান। আনন্দবাজারকে বলেন, 'মহাকুম্ভে স্নান করেছি। গঙ্গাজল মাথায় নিলাম। এখানে আর স্নান করলাম না।'
আরও পড়ুন: '২০২৫ -এর সেরা আদর', ছেলের জন্মের মাস ঘোরেনি, এর মধ্যেই একরত্তির ছবি পোস্ট রূপসার
তবে এই বিষয়ে যেটা উল্লেখযোগ্য , প্রয়োগরাজে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কমলা পোশাক পরে স্নান করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এদিন তিনি হুগলির ত্রিবেণীতে এসেছিলেন সবুজ শাড়ি পরে। জায়গা অনুযায়ী কি তবে পোশাকের রঙ বদলে গেল? সেটা দিদি নম্বর ওয়ান স্বীকার করতে নারাজ। তাঁর কথায়, 'আমি কালার থেরাপি করি।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, মহাকুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে তারপরই তৃণমূলের তরফে সেটার কড়া বিরোধিতা করেছে। কিন্তু মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করে আসার পর সেখানকার ব্যবস্থাপনার দারুণ প্রশংসা করেন রচনা। জানান শেখ তিনি নির্বিঘ্নে স্নান করতে পেরেছেন । গাড়ি দূরে রেখে কিছুটা হেঁটে আসতে হলেও তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি।