আরজি কর কাণ্ডের জেরে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত বিনোদুনিয়া। পুজোর আগে মাচা শো-এর বুকিংয়ে মন্দা। পুজো উদ্বোধন, জলসা এবং মাচার অনুষ্ঠানের অগ্রিম বুকিং-এর হাল তথৈবচ। এর মাঝেই সোশ্যালে ভাইরাল হুগলির তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাচা শো-এর একটি ভিডিয়ো।
গ্রামাঞ্চল বা শহরতলিতে মঞ্চে উঠে তারকারা নাচেন কোথাও আবার শোনান গান। সেরকমই একটি অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন রচনা। কালো ওয়েস্টার্ন পোশাক, সঙ্গে চড়া মেকআপে দিদি নম্বর ১-কে চেনা দায়! চোখের সবুজ গ্লিটার ছিল রচনার মেকআপের হাইলাইট! মাইক হাতে তারকা সাংসদ গান ধরতেই হেসেখুন নেটপাড়া।
জনপ্রিয় লোকগীতি ‘মন আমার কেমন কেমন করে…’ গেয়ে নেটিজেনদের কাছে হাসির খোরাক হলেন রচনা। এক মহিলা নেটিজেন লেখেন, ‘দিদি তো গানটার ধর্ষণ করে ছেড়ে দিল’। অপর একজন লেখেন, ‘কতো পাপ করলে এমন গান সামনে আসে’। আরেক নেটিজেন কড়া ভাষায় লেখেন, ‘পয়সার জন্য কোন পর্যায়ে নেমেছে, ছিঃ ছিঃ,এর থেকে কি আর আশা করা যায়,,ইনি আবার মহিলাদের আইকন, এগুলো গান???সুর নেই তাল নেই,,সবাই কে সব পারতে হবে????’
গত ৯ই সেপ্টেম্বর ফেসবুকে আর্শীবাদ স্টুডিওজের তরফে আপলোড করা হয় ভিডিয়োটি। তারপর থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন ওই ভিডিয়ো। যদিও এই অনুষ্ঠানটি কবেকার তা স্পষ্ট নয় ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে। অভিনয়ের পাশাপাশি দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকা হিসাবে রচনার জনপ্রিয়তা বরাবরই তুঙ্গে ছিল। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে সামিল হওয়ার পর থেকে প্রশংসার পাশাপাশি কম কটাক্ষও কপালে জোটেনি রচনার।
হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছেন রচনা। আরজি কর ইস্যুতে রচনার প্রাথমিক নীরবতা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি, এরপর গত ১৫ই অগস্ট ভিডিয়ো বার্তা জারি করে কটাক্ষের শিকার হন তৃণমূল সাংসদ।
দু-দিন আগে হুগলির চুঁচুড়ায় তাঁত মেলায় সামিল হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার বার্তাক পূর্ণ সমর্থন জানান রচনা। বলেন, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে মনে করি, দিদি (মমতা) যা বলেন, চিন্তাভাবনা করেই বলেন। পুজো নিশ্চয়ই হওয়া দরকার। শুধু আনন্দ নয়, প্রচুর মানুষের ব্যথাবেদনা, শ্রম জড়িয়ে থাকে পুজোর সঙ্গে। যাঁরা মণ্ডপ নির্মাণ করেন, তাঁরা কত শ্রম দিয়ে সেই কাজ করেন! উৎসব এলে অনেক মানুষের রুজিরোজগার হয়। সংসার চলে। সেটা ভুলে গেলে হবে না।’
জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরে আসার কথা জানিয়ে রচনা বলেন, 'চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য অনেক মানুষ দুঃখ পাচ্ছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। অনেক তিলোত্তমা তৈরি হচ্ছে। অনেক অভয়া তৈরি হচ্ছে। অনেক বাচ্চার মা-বাবা মারা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমার করজোড়ে আবেদন— আন্দোলন থাকবে। আন্দোলন করুন। কিন্তু কাজে ফিরে আসুন।’