শুধু টলিউড অভিনেত্রী হিসেবে শুধু নন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচিত ‘দিদি নম্বর ১’র পরিচালিকা হিসেবেও! যদিও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেভাবে কথা বলতে শোনা যায় না তাঁকে। এমনকী, কোনও বিতর্কেও জড়ান না নিজেকে। নিজের মতো করে থাকতেই ভালোবাসেন।
রচনার ছেলের গল্প ‘দিদি নম্বর ১’-এ শুনেছেন অনেকেই। তবে রচনা আর তাঁর বরের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ যে কী, তা অজানা অনেকেরই। রচনা কি ডিভোর্সি সিঙ্গেল মাদার, কারও সাথে সম্পর্কে আছেন বা কারও সাথে সম্পর্কে কি জড়াতে চান অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে অনেক দর্শকের মাথাতেই।
৪৭ বছরের রচনাকে এই নিয়ে কথা বললেন সংবাদ প্রতিদিনের সাথে। রচনা জানালেন, তিনি বিবাহিত, তবে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ তকমাটা তাঁর সঙ্গে যায় না। যদিও স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়নি রচনার। তবে আলাদা থাকেন। রচনার কথায়, ‘ছেলের জন্যই আমরা ডিভোর্স নেইনি। কারণ আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে তাঁর বাবা-মা ডিভোর্সড। এটা আমার এবং আমার স্বামীর মিলিত সিদ্ধান্ত।’
স্বামীর সাথে তাঁর সম্পর্ক এখন বন্ধুর মতো। রচনা জানিয়েছেন ছেলেকে সাথে নিয়ে তিনজন রেস্তোরাঁয় খেতে যান। ছেলের পরীক্ষা থাকলে স্বামী বাড়িতে এসে থাকে, ছেলেকে পড়ায়। তিনজনে মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করেন, হাসি-ঠাট্টাও করেন।
২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। অভিনেত্রীর ছেলের নাম প্রণিল বসু। বাবা আর ছেলের সাথেই থাকতেন রচনা। যদিও নভেম্বরে মারা যান রচনার বাবা। সেই শোক কাটিয়ে সদ্য কাজে ফিরেছেন অভিনেত্রী।