ছকভাঙা অভিনেত্রী তিনি, ছকভাঙা- জীবনযাত্রাতেই অভ্যস্ত তিনি। ২০১২ সালে চুপি চুপি ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী বেনেডিক্ট টেলরকে বিয়ে করেছিলেন রাধিকা আপ্তে। আর সেই বিয়ের ১২ বছর পর এবার মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি BFI লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রকাশ্যে আসে রাধিকার বেবি বাম্প। যদিও সকলকে অবাক করে দিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেছেন, তিনি নাকি মা হতেই চাননি।
হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন, এমন কথাই বলেছেন রাধিকা। লন্ডন থেকেই জুম কলে ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম কেউ হয়তবা বেবিবাম্প খেয়ালই করবেন না, তবে এটা এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। ছবির প্রিমিয়ার নাহলে এই বিষয়টা হয়তবা কেউ জানতেই পারত না।’
গর্ভাবস্থার তৃতীয় সেমিস্টারে রয়েছেন তিনি, এখন কেমন আছেন, এই প্রশ্নে রাধিকার উত্তর ছিল, তিনি এই মুহূর্তে এক্কেবারেই ভালো নেই। গত ৫দিন রাতে তাঁর ঠিকমতো ঘুমও হয়নি। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন তিনি, যেটা এক্কেবারেই ভালো নয়।'
রাধিকার কথায়, ‘আমার আসলে মা হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তাই এটা আমার কাছে একটা বড় ধাক্কা ছিল। আমি সত্যিই কখনও সন্তান চাইনি। আর তাই অন্তঃসত্ত্বা হলে ঠিক কী কী হয়, এটা ঠিক কেমন তা নিয়ে কখনও ভাবিই নি। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেকেই এটা নিয়ে ভালো ভালো কথা বলবেন, তবে বিষয়টা মোটেও মজার নয়। এই সময়টা খুবই কঠিন। কারণ এই সময়টাতে শরীর নানান বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। আর তাই আমারও এই যাত্রাপথ কঠিনই ছিল। আমি মিথ্যে বলতে চাই না। সত্যিই এটা আমার কাছে শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে একটা কঠিন পথ ঠিল। বিশেষ করে কেউ যদি বিশেষ সক্রিয় মানুষ না হন, তাহলে বিষয়টা সত্যিই কঠিন।’
গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসের কথা বলতে গিয়ে রাধিকা বলেন, 'প্রথম তিন মাস তো ভয়ানক। আমার তখন ভীষণভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হচ্ছিল। খালি বমি পেত। অথচ ওই পরিস্থিতির মধ্যেও আমার টানা ৩ মাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শ্যুটিং করেছি। সেসময় আমি যেন গলে যাচ্ছিলাম। অনেকে আবার তখন আময় জ্ঞান দিতে এসেছেন, বলেছেন, তোমার এই সময়টাতে হাসিখুশি থাকা উচিত। সেসময় আমার মনে হত তাঁদেরকে ঘুষি মেরে দিই। মনে হত, আমি ভুগছি, আর আপনারা এই সময় বলছেন খুশি থাকো।'
রাধিকার বলেন, শুধু তিনিই নয়, তাঁর স্বামী বেনেডিক্ট টেলরও সন্তান নিতে চাননি। তাঁরা দুজনে এটা জানার পর ২ সপ্তাহ পর্যন্ত হতাশ ছিলেন, মানতেই পারছিলেন না। তাঁর স্বামী বেনেডিক্ট রাধিকাকে একথা শুনে বলেন, ‘এই বিষয়টা বেশ মজার হল। আমরা তো এখনও জানি না, একটা শিশুকে কীভাবে জামা পরাতে হয়! তবে শেষপর্যন্ত আমরা এটার মধ্যেই আপাতত ডুব দিয়েছি।’