বীরেন মার্চেন্ট ও শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা মার্চেন্ট ও ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি বিয়ে করতে চলেছেন ৷ বর্তমানে তাঁরা ব্যস্ত প্রাক-বিবাহের উদযাপনে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে মামেরু অনুষ্ঠান। এই রীতির সঙ্গেই তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলি অ্যান্টিলিয়াতে শুরু হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে রাধিকাকে মনীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা একটি লহেঙ্গা পরতে দেখা গিয়েছে। এই পোশাকের ওড়ানার পাড় ধরে 'দুর্গা-শ্লোক' লেখা রয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, রাধিকা এই পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে তাঁর মায়ের গয়নাও পরেছিলেন। সবটা মিলিয়ে মামেরুর অনুষ্ঠানে নতুন কনে জমকালো সাজে সকলের নজর কেড়েছিলেন।
মনীশ মালহোত্রা নিজেই তাঁর স্যোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে রাধিকার ছবিগুলির শেয়ার নিয়েছিলেন। ছবিগুলি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, 'সুন্দরী রাধিকা যে পোশাকটি পরেছেন সেটি হল বাঁধনি লেহেঙ্গা। ওঁকে দারুণ দেখাচ্ছে। ওর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। বিয়ের প্রথম অনুষ্ঠানে রাধিকা বেছে নিয়েছেন একটি গোলাপি রঙের বেনারসি ব্রোকেটের বাঁধনি লেহেঙ্গা৷ সোনার জড়ি ও জোরদোসি দিয়ে এতে ক্লাসিক এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। আর পাড়ে সূচিকর্মের মাধ্যমে লেখা হয়েছে 'দুর্গা শ্লোক'। ৩৫ মিটার কাপড় দিয়ে ঘাগরাটি তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে একটি ভিনটেজ ব্লাউজ রাখা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: বড়লোক বাড়ির মেয়ে, হবেন আম্বানিদের বউমা, বিয়ে নিয়ে সাক্ষাৎকারে কী বললেন রাধিকা
রাধিকার ছবি স্টাইলিস্ট রিয়া কাপুরও শেয়ার করেছেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, 'সুন্দরী রাধিকা মামেরুতে মনীশ মালহোত্রার পোশাক সঙ্গে মায়ের গয়নায় সেজে উঠেছেন।'
মামেরু অনুষ্ঠান সম্পর্কে
বিয়ের ঠিক আগে গুজরাটি বিয়েতে বেশ কিছু প্রাক-বিবাহের রীতি রয়েছে। তার মধ্যে মামেরু বা মোসালু অন্যতম। এই অনুষ্ঠানে কনের মামা তাঁকে উপহার দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনের শাশুড়ির স্বামী অর্থাৎ শ্বশুর, গুজরাটিতে মুসা এই অনুষ্ঠানটি পালন করেন।
আরও পড়ুন: 'মালাবদল-টা কনফার্ম...' এবার বিয়ের পিঁড়িতে অলিভিয়া? নিজেই ফাঁস করলেন আসল সত্যি
রাধিকা মার্চেন্ট এবং অনন্ত আম্বানি ১২ জুলাই মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে বিয়ে করতে চলেছেন। বিয়ের আগে, দম্পতি দুটি পর্বে সেরেছেন প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠান। প্রথমটি জামনগরে আয়োজিত হয়েছিল। দ্বিতীয়টির জন্য, আম্বানিরা তাঁদের অতিথিদের নিয়ে ইউরোপ চারদিনের ক্রুজে ভ্রমনের আয়োজন করেছিলেন। মামেরুর আগে, মুম্বইয়ের রিলায়েন্স কর্পোরেট পার্কে (আরসিপি) ৫০ জন আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দম্পতির জন্য গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল।