এই বছর পুজোয় বাংলার বক্স অফিসের লড়াই ছিল চতুর্মুখী। যদিও বিগ বাজেট দুই ছবির সামনে ধরেভরে পিছিয়েই শুরু করেছিল দেবী চৌধুরানি এবং যত কাণ্ড কলকাতাতেই। ‘রঘু ডাকাত’ দেবের ম্যাজিক বনাম রক্তবীজ ২-এর আবির-মিমির ক্যারিশ্মা।
১০ দিন পর বক্স অফিসের রিপোর্ট কার্ড বলছে, এই লড়াইয়ে প্রথমদিন থেকেই এগিয়ে থেকেছেন দেব। মুক্তির প্রথম দশ দিনে বক্স অফিসে ৬.৪২ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। এই পরিসংখ্যান জানাচ্ছেন sacnilk। অন্যদিকে জাতীয় মাল্টিপ্লেক্সে এই ছবির আয় ২ কোটির আশেপাশে রয়েছে।
১১তম দিনেও অপ্রতিরোধ্য দেব। বক্স অফিসে ৩৭ লাখের টিকিট বিক্রি হয়েছে রঘু ডাকাতের। সেই দিক থেকে খানিক পিছিয়েই রইল রক্তবীজ। এই ছবির আয় ১১তম দিনে ছিল মাত্র ১৪ লাখ, সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ছবির আয় ৩.৫৭ কোটি টাকা।
নিন্দকরা তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে যাই বলুক না কেন, বিরোধী শিবির তাঁর ছবির প্রচার কৌশলকে যতই কটাক্ষ করুক না কেন, হলে দর্শক টানতে দেবের বিকল্প বর্তমানে টলিউডের কাছে নেই। বলা যায়, টলিউডের বর্তমান G.O.A.T দেব।
দুর্গা পুজো শেষ, কিন্তু বাঙালির ছবি পুজো এখনও জমজমাট। একাদশীর দিনও সিনেমাহল-মাল্টিপ্লেক্সে বাঙালি দর্শক ভিড় জমিয়েছে দেবের রঘু ডাকাত দেখতে।
ওদিকে রানা সরকার জাতীয় মাল্টিপ্লেক্স চেনের কালেকশনের একটি তথ্য তুলে ধরেছেন। ধূমকেতু প্রযোজক জানিয়েছেন, সারা দেশের জাতীয় মাল্টিপ্লেক্সে দেবের রঘু ডাকাতের আয় ১.৬৮ কোটি এবং রক্তবীজ ২-এর আয় ১.৫০ কোটি। এই ক্ষেত্রে অবশ্য টক্কর সোয়ানে সোয়ানের। ফারাক মাত্র ১৮ লাখের। আশ্চর্যজনকভাবে দেবী চৌধুরানিকে হারিয়ে এই তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে যত কাণ্ড কলকাতাতেই। অনীক দত্তর ছবির সাত দিনের ব্যবসা ৬৯ লক্ষ, সে জায়গায় দেবী চৌধুরানি মাত্র ৪৪ লাখেই আটকে গিয়েছে।
খাদান, ধূমকেতুর পর রঘু ডাকাতের রমরমা বক্স অফিস জুড়ে। দেব-শুভশ্রী জুটির ধূমকেতুর তুলনায় খানিক পিছিয়ে শুরু করেছিল দেবের রঘু ডাকাত। তবে পুজোর আবহে ক্রমেই উর্ধ্বমুখী দেবের ছবির ব্যবসা। রঘু ডাকাতের এই দৌড় কোথায় গিয়ে শেষ হয়, এখন সেটাই দেখবার।