দুবাইতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ইতিমধ্যেই ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাহাত ফতে আলি খান। তবে পাকিস্তানের এক রিপোর্ট অনুসারে (Pakistan's Geo News Reports), গায়ককে তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার সলমন আহমেদের দায়ের করা মানহানির অভিযোগের পর, স্থানীয় পুলিশ তাঁকে আটক করে। তবে পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
যদিও সোমবারই রাহাত একটি ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করেছেন। তাতে তিনি তাঁর অনুগামীদের গুজবে ‘কান না দিতে’ বলেছেন। যদিও সেই ভিডিয়োতে কোথাও তিনি অস্বীকার করেননি যে তাঁকে পুলিশ আটক করেছে এবং বুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুবাইতে গ্রেফতার রাহাত ফতে আলি খান? সত্যিটা নিজের মুখে জানালেন পাক গায়ক
কী বলেছিলেন রাহাত ফতে আলি তাঁর ভিডিয়ো বার্তায়:
ভিডিয়োতে পাকিস্তানের গায়ক বলেন, ‘আমি আমার গান রেকর্ড করতে দুবাই এসেছি। আমার গানের সব কাজই দারুণ এগোচ্ছে। এখানে সবকিছু ঠিক আছে।
আমি শুধু আমার ভক্তদের অনুরোধ করছি যে, কোনও গুজবে বিশ্বাস করবেন না। এরকম কিছুই নয়। আমি বেশ কয়েকটি গানে কাজ করছি এবং শিগগিরই একটি সুপারহিট গান নিয়ে ফিরে আসব, যা বিশ্ব দখল করবে। আমার সম্পর্কে ভুল খবর এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি আপনাদের প্রত্যেককে এটি বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করছি।
আমার শত্রুদের দ্বারা ছড়ানো এই ধরনের গুজব নিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। আমার উপর আস্থা রাখুন। আপনারাই আমার শক্তি। আমার দর্শক ও ভক্তরাই আমার শক্তি। আই লাভ ইউ অল।’
রাহাত ও সলমন আহমেদের মামলা:
জানা যাচ্ছে, রাহাতের বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক ম্যানেজার সলমন আহমেদের একাধিক অভিযোগ দায়ের করার পর দুবাই বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছু প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয় যে, ‘ও রে পিয়া’ গায়ককে গ্রেপ্তারের পরে বুর্জ দুবাই পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানের জিও টিভির খবরে বলা হয়, সাবেক ম্যানেজারের মানহানির অভিযোগে সোমবার দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাহাতকে। বিবাদের জেরে কয়েক মাস আগে ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছিলেন এই গায়ক। এরপরই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দু'জনে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ব্যক্তিকে চড় মারার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন রাহাত ফতেহ আলি খান। ভিডিয়োতে দেখা যায়, রাহাত ওই ব্যক্তিকে বারবার আঘাত ও চড় মারছেন। যাকে তিনি পরে তার শিষ্য নাভিদ হাসনাইন বলে শনাক্ত করেন। একটি চপ্পল দিয়ে মারা হচ্ছিল, আর বলা হচ্ছিল ‘আমার বোতল কোথায়?’
পরে 'মন কি লগান' এবং 'জিয়া ধড়ক ধড়ক'-এর মতো গানের জন্য পরিচিত এই গায়ক ইনস্টাগ্রামে একাধিক ভিডিওর মাধ্যমে একটি ব্যাখ্যা জারি করেন। তিনি বলেন, ভাইরাল ভিডিয়োটি একজন গুরু এবং তাঁর শিষ্যের ‘আভ্যন্তরীন’ মামলা।