অনেক জটিলতার পরকাজ শুরু করতে পেরেছিলেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। টলিপাড়ায় পরিচালক-টেনশিয়ানদের দ্বন্দ্ব মিটেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে। আর এই ঝামেলাটা শুরুই হল পরিচালক হিসেবে রাহুলের কাজ করা নিয়ে। যদিও সব মিটে সেটে ফেরেন তিনি। এসভিএফের প্রযোজনায় আসতে চলা পুজোর ছবিটির একদিন শ্যুটিংও হয়। তারপর ফের বন্ধ কাজ। আর এবার শোনা যাচ্ছে, আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে মিল থাকায় এউ ছবি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা।
বর্তমানে আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে সামিল বাংলার মানুষ। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, আর কোনও কথা শুনতেই রাজি নন তাঁরা। দোষীদের শাস্তি চাইছেন শুধু। এমনকী, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেও উত্তাল এক তরুণী ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণকে কেন্দ্র করে।
এদিকে, রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবিটি দক্ষিণী ছবি ‘গরুড়ন’-এর বাংলা রূপান্তর। আর আসল ছবিটি দেখানো হয়েছিল কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের ধর্ষণ। যার ফলে মেয়েটি চলে যায় ভেন্টিলেশনে। এরপর সেই ধর্ষককে বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগে কিছু মানুষ। এমনকী, প্রশাসনের নামও জড়িয়ে যায়। অভয়া মৃত্যুর সঙ্গে এই সিনেমা জড়িত থাকায়, পুজোয় মুক্তি পেলে ঝামেলা হতে পারে, তাই সরে দাঁড়ায় নির্মাতার। যদিও পরিচালক বা প্রযোজক কেউই এই ব্যাপারে মুখ খোলেননি। শোনা যাচ্ছে, প্রসেনজিৎ যেদিন এসে টেকনিশিয়ানদের ধর্মঘটের কারণে কাজ না করে ফিরে যান, সেদিন একটা হাসপাতালের দৃশ্যের শ্যুট করার কথা ছিল।
আরও একটা কারণ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুজোর বাকি আর মাত্র মাস দেড়েক। এইটুকু সময়ে শ্যুটিং করে, এডিটিং, ডাবিং, সাউন্ডের কাজ করার পর, সেন্সরের ছাড়পত্র আনা প্রায় অসম্ভব। প্রসঙ্গত, এই সিনেমায় মুখ্যচরিত্রে থাকার কথা ছিল প্রসেনজিৎচট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের।
আর সেই হিসেবে পুজোর বাজারে একাই রাজত্ব চালাবেন দেব আর সৃজিত। গতবারের মতো একে-অপরের বিপরীতে নয়, এবার দুজনে একইসমঙ্গে। টেক্কা আসছে সৃজিতের পরিচালনায়। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দেব-রুক্মিণী-স্বস্তিকা। তবে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সিনেমা বহুরূপীও রয়েছে তালিকায়। যেখানে রয়েছেন আবির ও ঋতাভরী। সঙ্গে সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় কোয়েলকে মুখ্য চরিত্রে নিয়ে ‘মিতিন মাসি’ আসারও কথা আছে। যদিও এখনও অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট হওয়া বাকি। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘পরান যাহা চায়’ নামে একটি সিনেমা আসারও কথা রয়েছে। আসতে পারে পথিকৃৎ বসুর ‘শাস্ত্রী’-ও।